নতুন অতিথি আসার ঘোষণাটা আগেই দিয়েছিলেন মারিয়া শারাপোভা। গত ১৯ এপ্রিল নিজের ৩৫ জন্মদিনে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন পাঁচবারের এই গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন।
ছবিটা দেখেই ভক্তরা বুঝে নেন, মা হতে চলছেন টেনিসে সাবেক নাম্বার ওয়ান। কাল ইনস্টাগ্রামে আরেকটি ছবি প্রকাশ করে রাশিয়ার সাবেক এই টেনিস খেলোয়াড় নিশ্চিত করেছেন, নতুন অতিথি এখন তাঁর ঘরে। নবজাতক সন্তানের নাম রেখেছেন থিওদর।
প্রেমিক ও ব্রিটিশ ব্যবসায়ী আলেক্সান্দার গিল্কস এবং বাচ্চার সঙ্গে একটি ছবি কাল ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন শারাপোভা। রোমান হরফে থিওদরের জন্ম ১ জুলাই বুঝিয়ে শারাপোভা লিখেছেন, ‘আমাদের ছোট পরিবার এর চেয়ে সুন্দর, চ্যালেঞ্জিং ও পুরস্কারসূচক উপহার আশা করতে পারত না।’
শারাপোভা একসময় প্রেমিক হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এনবিএ তারকা সাশা ভুয়াচিচকে। এরপর তাঁর জীবনে এসেছেন গ্রিগর দিমিত্রভ। টেনিসের এই গ্ল্যামারাস তারকার উড়ু উড়ু মন বেশিদিন দিমিত্রভে আটকে থাকেনি। ২০১৮ সালে আলেক্সান্দার গিল্কসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তিনি।
৪২ বছর বয়সী গিল্কস ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শারাপোভার সঙ্গে তাঁর বাগদানের খবর জানিয়েছিলেন। ৩ লাখ পাউন্ড দামের আংটি দিয়ে বাগদান সেরেছিলেন গিল্কস। শারাপোভা সে ঘটনা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘প্রথম সাক্ষাতের দিনই আমি হ্যাঁ বলেছি।’
টেনিসে ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্লামের দেখা পাওয়া ১০ জন নারী খেলোয়াড়ের একজন শারাপোভা। চারটি গ্র্যান্ড স্লামের সব কটিই জিতেছেন। ১৭ বছর বয়সে ২০০৪ সালে উইম্বলডন জিতে হইচই ফেলে দেন তিনি। ২০০৬ সালে ইউএস ওপেন, ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ২০১২ ও ২০১৪ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন শারাপোভা। ২০১২ লন্ডন অলিম্পকে জিতেছেন রৌপ্যপদকও। সেবার হেরে যান যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে।
আলেক্সান্দার গিল্কসের সাবেক স্ত্রী ফ্যাশন ডিজাইনার মিশা ননো ব্রিটিশ রাজবধূ মেগান মার্কলের বন্ধু। গিল্কসের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি এবং প্রিন্স উইলিয়ামেরও বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। ইটন কলেজ থেকে এই বন্ধুত্বের শুরু।
গিল্কসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর পর ২০১৯ সালে চোটে পড়েন শারাপোভা। র্যাঙ্কিংয়ে ৩৭৩ নম্বরে নেমে যান। ২০২০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের পর সে বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি টেনিস থেকে অবসর নেন শারাপোভা।