মেয়র একাডেমি কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্রাদার্স ও পোর্ট সিটির জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২১ মে ২০২৫, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

মেয়র একাডেমি কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্রাদার্স ও পোর্ট সিটির জয়

মেয়র একাডেমি কাপ (অনূর্ধ্ব-১৮) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সোমবার (২১ মে) ছিল ব্যাটিং ব্যর্থতা আর বল হাতে দাপটের দিন। টুর্নামেন্টের পুনঃনির্ধারিত সূচিতে অনুষ্ঠিত দুটি ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ব্রাদার্স ক্রিকেট একাডেমি ও পোর্ট সিটি ক্রিকেট একাডেমি। নিজেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও কার্যকর ব্যাটিংয়ে দু’দলই প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করে সহজ জয় ছিনিয়ে নেয়।

🔶 ম্যাচ ১: উদীয়মান ক্রিকেট একাডেমি বনাম ব্রাদার্স ক্রিকেট একাডেমি
🎯 ফলাফল: ব্রাদার্স ক্রিকেট একাডেমি ৭ উইকেটে জয়ী
🏆 ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আকিবুল ইসলাম সানি (২৯* রান)

প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় উদীয়মান ক্রিকেট একাডেমি ও ব্রাদার্স ক্রিকেট একাডেমি। টস জিতে ব্রাদার্স সিদ্ধান্ত নেয় বোলিংয়ের এবং শুরু থেকেই সেই সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করে তারা।

উদীয়মানের ইনিংসটা শুরুতেই ছন্দপতন। দলীয় ১ রানে আফরান কবিরের উইকেট হারানোর পর একে একে ফিরে যান আহসান মাহবুব, রোকন, ফারুক, আদনান সহ টপ অর্ডার ব্যাটাররা। কেউই ব্যাটে-বলে স্থিতি আনতে পারেননি। পুরো ইনিংসে মাত্র ৬৩ রান করে উদীয়মান একাদশ, যা টি-২০ ম্যাচের প্রেক্ষাপটে একরকম আত্মসমর্পণই বলা যায়।

সেরা বোলিং পারফরম্যান্স আসে আবদুল্লাহ আবিরের কাছ থেকে—২ ওভারে ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট। পাশাপাশি সানরাত, আলভিরে ও আয়ান দারুণ সাপোর্ট দেন। সুশৃঙ্খল লাইন ও লেন্থের ফলে কোনো ব্যাটারই দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি।

লক্ষ্য মাত্র ৬৪ রান। চাপহীন এই রান তাড়ায় শুরুতেই আলভির ফিরে যান (১৫), তবে সানি ও আয়ান মিলে রানচেজকে সহজ করে দেন। আকিবুল ইসলাম সানি অপরাজিত থেকে ২৯ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন এবং ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। ব্রাদার্স ৮.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয়।

🔶 ম্যাচ ২: পোর্ট সিটি ক্রিকেট একাডেমি বনাম নিউ ক্রিকেট একাডেমি
🎯 ফলাফল: পোর্ট সিটি ক্রিকেট একাডেমি ১৫ রানে জয়ী
🏆 ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মারওয়ান চৌধুরী (১৬ রান ও ২ উইকেট)

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করতে নামে পোর্ট সিটি ক্রিকেট একাডেমি। একের পর এক উইকেট হারালেও মাঝেমধ্যে গুঁটিকয়েক ব্যাটারের অবদান তাদের টেনে নিয়ে যায় ৯৮ রানে। মারওয়ান চৌধুরী করেন ১৬ রান, ইব্রাহিম সাজিদ ১৩, এবং সাফওয়ান ১২ রান।

অবশ্য স্কোরবোর্ডে এই স্কোর দাঁড় করাতে বড় ভূমিকা রাখে অতিরিক্ত ২৬ রান। বিপক্ষ দলের ওয়াইড ও নো-বল ছিল বেশ দৃষ্টিকটূ। নিউ ক্রিকেট একাডেমির হয়ে মাসুদ মিয়া ছিলেন ব্যতিক্রম—৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন।

ব্যাট হাতে নামতেই নিউ ক্রিকেট একাডেমির ইনিংসে নামে ধস। ১৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায়। ইনিংসটা আর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ইস্তিয়াক আবিদ করেন সর্বোচ্চ ২১ রান। এরপর আর কেউ দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ইনিংস গুটিয়ে যায় ৮৩ রানে।

পোর্ট সিটির হয়ে বল হাতে মারওয়ান ছিলেন দুর্দান্ত—৪ ওভারে মাত্র ১০ রানে ২ উইকেট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্যই পান ম্যাচসেরা খেতাব।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন