স্কোর বোর্ডে ৩০৩ রানের পুঁজি। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৬১ রানের বেশি লক্ষ্য টপকে জয়ের রেকর্ড নেই জিম্বাবুয়ের। পরিসংখ্যান বলছে, শেষ টানা ১৯ ওয়ানডেতে একচেটিয়া দাপট টাইগারদের। ২০১৩ সাল থেকে মুখোমুখি দেখায় এই ফরম্যাটে জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ। অথচ সেই জিম্বাবুয়েই কি-না ৩০৪ রান টপকে গেল অনায়াসে!
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেটের প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাটিংয়ের সঙ্গে কাঠগড়ায় বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং বিভাগ। একাধিক ক্যাচ যেমন হাত গলেছে, তেমনি সহজ স্টাম্পিংয়ের সুযোগও নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫টি সহজ সুযোগ ছেড়েছেন সফরকারীরা। জীবন পেয়ে ইনোসেন্ট কাইয়া আর সিকান্দার রাজা জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জিতিয়েছেন। এই ম্যাচ হারের পর অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানালেন, আজকের দিনটা দারুণ একটি উদাহরণ।
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলেন, ‘প্রত্যেক দিন একটা কথা বলি- ফিল্ডিং, ফিল্ডিং। আমরা ইদানীং অনেক ক্যাচ ফেলছি। কোনো না কোনো দিন তো এর মাশুল গুনতে হবে। আজ হয়ত সেই দিনটাই ছিল। অনেকবার আমরা ২-৩টা ক্যাচ ছেড়েও ম্যাচ জিতে গেছি। এমন উইকেটে চারটি ক্যাচ ছেড়ে ম্যাচ জিততে পারবেন না।’
এমন ক্যাচ ফসকেছে আগেও, কিন্তু বাংলাদেশ জয় পেয়েছে দিনশেষে। তবে এমন যে সবসময় হয় না, সেটাই মনে করিয়ে দিলেন তামিম, ‘আমি সব সময়ই বলি, হারের পর অনেক কিছুর দিকেই আঙুল তোলা যায়। কিন্তু এই কথাগুলো আমি জিতে এসেও অধিনায়ক হিসেবে বলতাম। জেতার পরও আমি সব সময় বলি, এটা ভুলে গেলে হবে না যে আমরা কী কী জায়গায় ভুল করেছি। আজকের দিনটা দারুণ একটা উদাহরণ—এত দিন যে আমরা ক্যাচ ফেলে, বাজে ফিল্ডিং করেও জিতেছি, একদিন না একদিন এটা আপনাকে এসে ধরতই। আজকেই সেই দিনটা।’
স্কোর বোর্ডে ৩০৩ রানের পুঁজি। খালি চোখে বিশাল মনে হলেও হারারে স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের এক পাশে বাউন্ডারি দৈর্ঘ্য মোটে ৫৫ মিটার। সহজেই বাউন্ডারি আসে সেদিক থেকে। এজন্য তামিম মনে করেন, ১৫-২০ রানের মতো কম হয়েছিল তাদের।
তামিমের ব্যাখ্যা, ‘আমাদের আরও ১৫-২০ রান বেশি করা উচিত ছিল। আমরা ১ উইকেটে ২৫০ রানের মতো অবস্থায় ছিলাম। এ অবস্থায় থাকলে একটু দ্রুত রান তোলা দরকার ছিল, যেন আমরা ওই অতিরিক্ত ১৫-২০ রান করতে পারি।’