বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের মাধ্যমে শুরু হলো ‘বাংলাওয়াশ টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজ’। সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই দল খেলতে নামে।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ম্যাচটি শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় শুরু হয়। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে। জবাবে বাংলাদেশ ১২ ওভার শেষে দুই ওপেনারকে (সাব্বির ১৮ বলে ১৪ রান ও মিরাজ ১১ বলে ১০ রান) হারিয়ে ৮৪ রান করে। লিটন ৩৫ রান নিয়ে ও আফিফ ১৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
কিন্তু আজকের ম্যাচে সাকিব কেন খেলছেন না? এ প্রশ্ন সবার মনে। মাত্র একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে গিয়ে পৌঁছেন বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শোনা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার পৌঁছার পর শুক্রবারই খেলতে নামবেন সাকিব। কিন্তু দেখা গেল আজকের ম্যাচে সেই অধিনায়কই নাই।
কিন্তু বড় প্রশ্ন ছিল, দীর্ঘ ভ্রমণক্লান্তি এড়িয়ে কিভাবে সাকিব পাকিস্তানের মত দলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নামবেন? দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে তার নিজের ফিটনেস ঠিক থাকবে তো?
এসব প্রশ্নের সহজ সমাধান দেখা গেল আজকের ম্যাচে। সকালে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে যখন টস করতে নামলেন নুরুল হাসান সোহান। এর অর্থ, সাকিব আল হাসান একাদশেই নেই আজ। তার পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সোহান।
গত কয়েকটি টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাব্বির রহমান। এ পজিশনে মিরাজ কিছুটা ভালো করলেও সাব্বির জ্বলে উঠতে পারেননি। টিম ম্যানেজমেন্ট ওপেনিং স্লটের জন্য আজও এই জুটিকেই রেখেছেন।
এছাড়া লিটন দাস, আফিফ হোসেন এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের জায়গা এক প্রকার পাকা। এরপর বাকি থাকে বোলারদের স্লট।
নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি উইকেট বিবেচনায় তিন পেসার নিয়ে নামে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে একাদশে সুযোগ পেলেন তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান এবং হাসান মাহমুদ।
একজন পেসার কম নিয়ে খেললে ব্যাটিং অর্ডারে জায়গা পেতে পারেন ইয়াসির আলি রাব্বির। সেটাই সত্যি হলো। এ ছারা স্পিন এটাকে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদ। ব্যাকআপ হিসেবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত তো রয়েছেনই।
বাংলাদেশের একাদশ:
সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, লিটন দাস, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ।
পাকিস্তানের একাদশ:
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, হায়দার আলী, আসিফ আলী, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, হারিস রউফ, শাহনেওয়াজ দাহানি।