দল কেমন হতে পারে সেটি নিয়ে সবার একটি ধারণা ছিল। সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ থেকে খুব বেশি যে উলট-পালট হবে না সেটি জানাই ছিল। তবুও দল ঘোষণা পর্যন্ত সবার অপেক্ষা ছিল, একটি নাম ঘিরে। সেটি দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
দল ঘোষনার সময় সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, তানজিদ হাসান…এক এক করে ১৭ জনের নাম ঘোষণা করে ফেললেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকদের অনুরোধে মিনহাজুল আরও একবার নামগুলো বললেন। এই ১৭ জনের মধ্যে মাহমুদউল্লাহর নামটা নেই।
৩৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কি তাহলে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন? সেই প্রশ্ন পরবর্তী সময়ের জন্য তোলা থাকলো। এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের ঘোষিত ১৭ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি রিয়াদের। অথচ আসন্ন টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরুর আগেই নিজ উদ্যোগে মিরপুর শেরেবাংলার মাঠে অনুশীলন শুরু করে দেন রিয়াদ। তখন ধারণা করা হয়েছিল, বিসিবির পক্ষ থেকে তিনি ইতিবাচক কোনো ইঙ্গিত পেয়েছেন। তবে সেই গুঞ্জন পাশ কাটিয়ে আবারও দলের বাইরে এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
আজ (শনিবার) মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করেন। সেখানে রিয়াদের বাদ পড়া নিয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়। টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচের পরিকল্পনাতে রিয়াদের না থাকার কথা জানান প্রধান নির্বাচক।
এ সময় নান্নু বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে অনেক লম্বা আলোচনা হয়ে আসছে শুরুর দিকে। তারপর অনেক আলোচনার পর টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদেরকে একটা পরিকল্পনা দেয়, সামনে কীভাবে কোন দেশের সঙ্গে খেলবে এবং তার কৌশল। সেই চিন্তা-ভাবনা থেকেই রিয়াদকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনাকে আমরা অবশ্যই ভালো মনে করছি। ওদের সঙ্গে যেহেতু হেড কোচের একটা পরিকল্পনা আছে টিম পরিচালনার বিষয়ে। এ নিযে আমাদের অধিনায়কের (সাকিব আল হাসান) সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।’
বিশ্বকাপের ভাবনায় রিয়াদ থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের দল এখন নয়, আপাতত এশিয়া কাপ। বিশ্বকাপের দলও আপনাদেরকে জানানো হবে। এখন এশিয়া কাপ নিয়ে আলোচনা করছি। যা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদেরকে একটা পরিকল্পনা দিয়েছে, অতিরিক্ত স্পিনার বা পেসার নিয়ে খেলা এ ধরনের ব্যাপার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়।’
সবমিলিয়ে ম্যানেজমেন্টের ওপরই পুরো ভার দিয়েছেন নান্নু, ‘এই ম্যানেজমেন্টের আন্ডারে মিরাজকেই সাতে কন্ডিডার করা হচ্ছিল কয়েকটা সিরিজে। মিরাজের ওপর আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আট নম্বরে অতিরিক্ত পেসার বা স্পিনার যখন যেটা যে কন্ডিশনে দরকার হবে, ওভাবেই কিন্তু আগায়। টিম ম্যানেজমেন্টের অনেক পরিকল্পনা আছে, যেগুলো এখানে শেয়ার করতে পারি না। ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিয়েই দলটা তৈরি করা হয়েছে।’