বর্তমান বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগতির বোলার হারিস রউফ। চলমান এশিয়া কাপের শুরু থেকে দুর্দান্ত বোলিং করে আসছেন পাকিস্তানি এই পেসার। প্রতিটি ম্যাচেই তিনি গড়ে ১৪৫ গতিতে বল ছোড়েন। সেই গতিতে ব্যাটারদের দিশেহারা করলেও, পুরো আলোটা নিজের দিকে ফেরাতে পারছিলেন না রউফ। কারণ শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ-ও যে থেমে নেই। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ১৯ রানেই ৪ উইকেট নিয়ে রউফ ম্যাচসেরা হয়েছেন। কিন্তু ম্যাচে তার জুতার সামনের দিকে ছোট একটি ‘ছেঁড়া’ অংশ দেখা গেছে।
বুধবার সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং করা বাংলাদেশকে দুইশ’র আগেই গুটিয়ে দেয় পাকিস্তান। যার ৮টি উইকেটই দখলে নিয়েছেন শক্তিশালী তিন পেসারত্রয়ী। এছাড়া নতুন করে একাদশে ফেরা মিডিয়াম পেসার ফাহিম আশরাফ ও ইফতিখার একটি করে উইকেট নেন। ব্যাটিং স্বর্গখ্যাত পিচ হলেও লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১১.২ ওভার হাতে রেখেই বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায়।
এরপর ইমাম-উল-হক এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাফসেঞ্চুরিতে প্রায় একই সংখ্যক ওভার এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই স্বাগতিকরা জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। যা পাকিস্তানকে ফাইনালের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে। কেননা সুপার ফোরের পরবর্তী পাঁচ ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে বর্তমান সময়ের বৃষ্টিপ্রবণ কলম্বোয়। যেখানে সবগুলো ম্যাচের ফলাফল পাওয়া নিয়ে এখনই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
তবে টাইগারদের সঙ্গে ম্যাচ শেষে আলোচনায় হারিস রউফের ‘ছেঁড়া’ জুতা। পেসারদের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা জুতা। জুতা সঠিক মাপের না হলেই সমস্যা হতে বাধ্য। এছাড়া বোলিংয়ে ল্যান্ডিংয়ের সময় পা স্লাইড করে। এতে ডানহাতি পেসারদের ক্ষেত্রে বাঁ-পায়ের বুড়ো আঙুলে চোট লাগার সম্ভাবনা প্রবল। অনেক সময় নখও উঠে যায়। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, পেসাররা বুড়ো আঙুলে টেপ বেঁধে জুতা পরেন। বোলিংয়ের সময় যাতে আঙুলে চোট লাগার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে। আরও একটা উপায় আছে। হ্যারিস রউফকে সেটাই করতে দেখা গেল।
শুরুতে যে জুতো পরে বোলিং করছিলেন, সম্ভবত সেটি নতুন। তাই আর নিজের মতো ‘মডিফাই’ করার সুযোগ পাননি। দ্রুত ডাগ আউট থেকে তার পুরনো জুতা জোড়া আনানো হয়। এরপরই বোলিংয়ে স্বস্তিতে দেখায় রউফকে। জুতো বদলের পর তার বোলিংয়ের ধার যেন বেড়ে যায়। তাঁর পুরনো জুতোর বাঁ-পায়েরটিতে বুড়ো আঙুলের জায়গায় ওই মাপেরই ফুটো করা। এতে বোলিংয়ে ল্যান্ডিংয়ের সময় পা স্লাইড করলেও আঙুলে চোট লাগার সম্ভাবনা নেই। পায়ে খুব চাপ পড়লে আঙুল কোথাও ধাক্কা খাচ্ছে না। সে কারণেই স্বস্তিতে দেখায় রউফকে।
অবশ্য বিশ্ব ক্রিকেটে এরকম ঘটনা নতুন নয়, অতীতেও অনেক পেসারকেই এমনটা করতে দেখা গেছে। পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনুস, ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আখতার, অজি স্পিডস্টার ব্রেট লি এবং ভারতীয় তারকা পেসার মোহাম্মদ শামিকেও একই কায়দায় জুতা পরতে দেখা যায়।