চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে দাপুটে জয় অব্যাহত রেখেছে শিরোপা প্রত্যাশী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র (লাল)। তাদের টানা দ্বিতীয় জয়ে বড় অবদান রেখেছে মুক্তিযোদ্ধার উদ্বোধনী ব্যাটার আল আমিন হোসাইনের হাত ধরে। তিনি করেন এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরি।
স্বাধীনতার মাসের প্রথম দিনে (১ মার্চ) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বেশ কয়েকটি রেকর্ডের জন্ম দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র (লাল) আগে ব্যাট করতে নেমে প্রিমিয়ার ক্রিকেটের রেকর্ড ১৭৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন আল আমিন ও সাফায়াত ইফতি। ৫০ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৩৬৬ রানের পাহাড়ে, যেটিও প্রিমিয়ারে একটি রেকর্ড। তাদের রানের পাহাড় ডিঙাতে গিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একাদশ হেরে যায় রেকর্ড ১৬২ রানের বড় ব্যবধানে।
রেকর্ডে ভরপূর ম্যাচে সকালে টসে জিতে মুক্তিযোদ্ধাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় সিটি করপোরেশন। কিন্তু অধিনায়কের সেই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করেন মুক্তিযোদ্ধার দুই উদ্বোধনী ব্যাটার ইফতি ও আল আমিন। এ দুজন সিটির বোলারদের অপেক্ষায় রাখেন ৩২.২ ওভার। ততক্ষণে তাদের জুটিতে চলে আসে ১৭৯ রান। ইফতি নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়ে ৯১ রানে আউট না হলে একই ইনিংসে দুই উদ্বোধনী ব্যাটারের সেঞ্চুরির স্বাক্ষী হতো এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। ইফতি আউট হওয়ার আগে ৯৭ বলে এক ডজন চারের সাহায্যে খেলেন ৯১ রানের ইনিংস।
ইফতি আউট হয়ে গেলেও অপর উদ্বোধনী ব্যাটার আল আমিন সিটির ফিল্ডারদের বারবার বাউন্ডারির বাইরে পাঠানোর কাজে ব্যস্ত রেখে শতক হাকিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন দেড়শ রানের মাইলফলকের দিকে। কিন্তু ১৪৭ রান করে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আল আমিন যখন আউট হন ততক্ষণে দলের সংগ্রহ গিয়ে দাড়ায় ৩৪২ রানে। মাঝখানে আরিফুল ইসলাম ১৯ বলে ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে আউট হন। দলীয় অধিনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপন দ্রুত আউট না হলে আরও বড় রানের চাপায় পড়তেন সিটি।
তবে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে জাওয়াদ মাহমুদ মাত্র ২৫ বলে খেলেন ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি করে চার আর ছয়ে। শেষ দিকে রতন মাত্র ৮ বলে ৩টি বড় ছয়ে করেন ২২ রান।
মুক্তিযোদ্ধার রান উৎসবের দিনে সিটির হয়ে বল হাতে ২ উইকেট শিকার করেন রনি চৌধুরী ও আশরাফুল বাবু।
বড় রান ডিঙাতে গিয়ে ৩.১ ওভারেই সিটি হারিয়ে ফেলে উদ্বোধনী ব্যাটার সাজ্জাদকে। অপর ওপেনার আনিসুল ইসলাম ৭১ বলে চারটি চার ও তিনটি ছয়ে ৫৭ রান করলেও সেটি মুক্তিযোদ্ধার জন্য যথেষ্ট ছিল না। আনিসের সাথে মিডলে নেমে আরিফ রেজাও (৮৯ বলে ৬৮ রান কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। পাশাপাশি অভিজ্ঞ ব্যাটার আবু নেওয়াজ লিখন ৫২ বলে ৩৫ এবং আশরাফ বাবু ২৪ বলে ১৯ রান করেন। কিন্তু সেসব দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র।
মুক্তিযোদ্ধার হয়ে ইনজামামুল হক ৩০ রানে তুলে নেন ৫ উইকেট। আরেক পেসার মনিরুজ্জামান নেন ২ উইকেট।