আরেকটি অসাধারণ ম্যাচের স্বাক্ষী হলো চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। ২৩৭ রান তাড়া করতে গিয়ে ৪৬ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২০১ রান। পরবর্তী তিন ওভারে (৪৭, ৪৮ ও ৪৯ ওভারে) ১৮ রান আসলে হারিয়ে ফেলে আরও ২টি উইকেট। ফলে শেষ উইকেট জুটিতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য করতে হবে ১৬ রান।
শেষ ওভারে ১৬ রান; তাও শেষ উইকেট জুটিতে। ম্যাচ তখন পুরোপুরি শাহজাহান সংঘের পকেটে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেসির (লাল) আশার প্রতীক হয়ে স্ট্রাইকে মারকুটে ব্যাটার রতন দাশ। শাহজাহান সংঘের বাঁহাতি স্পিনার সাইফুল ইসলাম সানির প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে খাদের কিনার থেকে দলকে টেনে তুলতে শুরু করেন। সেখান থেকে পরের তিন বলে দুই চার ও এক ছয়ে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন সেই রতন।
দুই বল হাতে থাকতে টানা চতুর্থ জয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কেসি যখন মাঠ ছাড়ে তখন রতনের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ৩৯ বলে ৪টি করে চার-ছয়ে সাজানো ৬১ রানের ইনিংস। এর আগে ৪২ বলে ৫৪ রান করে দলকে জয়ের রাস্তায় রাখেন দলীয় অধিনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপন।
এছাড়া, মোহায়মিনের ৩১, ইমরুলের ২৭, আল আমিনের ২১ এবং রাফসানের ১৮ রান মুক্তিযোদ্ধার জয়ে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
শাহজাহান সংঘের আয়াস ও স্বজন নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে সকালে টসে জিতে শাহাজাহান সংঘকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় মুক্তিযোদ্ধা কেসি। শাহজাহান সংঘ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৬ রান সংগ্রহ করে। শেষ ৫ ওভারে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে মাত্র ১৯ রান করতে পারে তারা। না হয় দলের স্কোর আরও সমৃদ্ধ হতো।
দলের পক্ষে আবদুল কাদের রাসেল সর্ব্বোচ ৬৮ রান করেন। এছাড়া, মাহিন হাসান ৫৬ রান করেন।
মুক্তিযোদ্ধার হয়ে বল হাতে মো. মনিরুজ্জামান, রতন দাশ ও মুরসাউন মুরাদ প্রত্যেকে নেন ২ টি করে উইকেট।
এই জয়ের ফলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ৪ খেলায় ৪ জয় পায়। পক্ষান্তরে শহীদ শাহাজাহান সংঘ ৪ খেলায় ৪টিতেই হেরে এখনো পয়েন্টহীন।