টি-টোয়েন্টিতে এখনকার সময়ে দেড়শতাধিক রানও নিরাপদ নয়। সেখানে ১২৫ লক্ষ্য তো মামুলী হওয়ার কথা। কিন্তু দলটির নাম যখন বাংলাদেশ হয় তখন সেই মামুলি লক্ষ্যই হয়ে যায় বিশাল পাহাড়। তাই সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে হৃদয়ের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পরও শেষদিকে ধুঁকতে ধুঁকতে ২ উইকেটে জয় পেল বাংলাদেশ। অবশেষে বহুল কাঙ্ক্ষিত জয় ধরা দিলো বাংলাদেশ দলের হাতে। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুইবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়ে টাইগাররা জয়ের দেখা পায়নি।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কাকে দারুণ আক্রমণের মুখে ফেলে দেন মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি দুজনই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। ফলে সর্বসাকুল্যে ৯ উইকেটে মাত্র ১২৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দল। সেই রানের চাপও শুরুতে নিতে পারেননি টপ অর্ডারে নামা সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
৩০ রানেই তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ পথ খুঁজে পায় তাওহীদ হৃদয়ের কল্যাণে। তিনি যখন ফিরছেন তখন জয় পেতে আর ৫০ বলে ৩৪ রান দরকার টাইগারদের। সেই ম্যাচটাই কিনা কঠিন বানিয়ে ফেলেন সাকিব আল হাসান ও রিশাদ হোসেনরা। আবারও সেই নুয়ান থুসারা জুজু। বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া শ্রীলঙ্কার সর্বশেষ সফরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তার ইয়র্কারে নাকানিচুবানি খেয়েছিল স্বাগতিকরা। এই ম্যাচও যেন সেদিকেই মোড় নিচ্ছিল। তবে শেষ সম্বল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সেই ‘পুলসিরাত’ পার করলেন ১ ওভার হাতে রেখে।