বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা দল। টুর্নামেন্টের চুড়ান্ত পর্বে দুর্দান্ত শুরু করা চট্টগ্রাম তৃতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খায়। সেনাবাহিনীর কাছে হেরে শেষ ম্যাচের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় চট্টগ্রামকে। শেষ পর্যন্ত সেই শেষ ম্যাচেই জিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল চট্টগ্রাম জেলা দল। দীর্ঘ দিন পর জাতীয় পর্যায়ের কোন টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল চট্টগ্রাম জেলা দল।
গতকাল মাদারীপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সিলেট জেলা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল চট্টগ্রাম। খেলার প্রথমার্ধ ছিল গোল শূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে একমাত্র গোল করে দলকে জেতানোর পাশাপাশি সেমিফাইনালে নিয়ে যান সায়মন। প্রথম দুই ম্যাচে জিতে বেশ এগিয়ে ছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেল। তবে গতকাল অনুষ্ঠিত গ্রুপের শেষ ম্যাচে কেবল ড্র করতে পারলেই শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যেতো চট্টগ্রামের। কিন্তু চট্টগ্রামের ফুটবলাররা একেবারে জয় দিয়েই শেষ চারে যাওয়া উদযাপন করল।
খেলার প্রথমার্ধে দারুন খেললেও গোল আদায় করতে পারেনি চট্টগ্রাম জেলা দলের স্ট্রাইকাররা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে। আর তাতেই খেলার ৬০ মিনিটে আসে সাফল্য। সায়মন গোল করে এগিয়ে দেন চট্টগ্রাম জেলা দলকে। ব্যবধান দ্বিগুন করার সহজ সুযোগটি নষ্ট করে চট্টগ্রাম পেনাল্টি মিস করে। খেলার ৭২ মিনিটে সিলেট জেলা দলের ডিবক্সে এক ফুটবলারের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারী। কিন্তু সে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি ফাহিম। ততে অবশ্য খুব বেশি ক্ষতি হয়নি চট্টগ্রামের।
ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন দলই গোল করতে পারেনি। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার আনেন্দ ভাসে চট্টগ্রাম জেলা দল। আগামী ১ জুলাই ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সেমিফাইনাল ম্যাচ। বাংলাদেশ নৌবাহিনী অথবা মাগুরা জেলা দলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলবে চট্টগ্রাম জেলা দল।
টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলাও অনুষ্ঠিত হবে সেখানে। এদিকে দলের ম্যানেজার সালাউদ্দিন জাহেদ দলের এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন দলের খেলোয়াড়দের। দলের সবার প্রচেষ্টায় এই সাফল্য। তিনি এই সাফল্যকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। এখন আর দুটি ম্যাচ জিততে পারলেই চট্টগ্রামের ফুটবলে ধরা দেবে আরো বড় সাফল্য। অন্তত তেমন একটি দিনের অপেক্ষায় চট্টগ্রামবাসী।