তিন বছর পর উইম্বলডনে ফিরছেন রাফায়েল নাদাল। স্বাভাবিকভাবে খুশি থাকার কথা এই স্প্যানিয়ার্ডের। তবে একটি ব্যাপার বেশ পোড়াচ্ছে তাকে। এবারই যে প্রথম তিনি অল ইংল্যান্ড ক্লাবে খেলবেন, যেখানে দেখা যাবে না টেনিসের আরেক কিংবদন্তি রজার ফেদেরারকে।
দুজনের অনেক মহাকাব্যিক লড়াইয়ের সাক্ষী হয়েছে টেনিস বিশ্ব। এর মধ্যে আছে ২০০৬ থেকে উইম্বলডনের টানা তিনটি ফাইনাল। প্রথম দুটি ফেদেরার জিতলেও ২০০৮ সালে শিরোপায় চুমু আঁকেন নাদাল, এখানে যা ছিল তার প্রথম শিরোপা।
১৯৯৮ সালে জুনিয়রদের উইম্বলডনে খেলেছিলেন ফেদেরার। পরের বছর তার সিনিয়র টুর্নামেন্টে অভিষেক। এরপর থেকে উইম্বলডন মাঠে গড়িয়েছে, অথচ সুইস তারকাকে দেখা যায়নি এমনটা কখনও হয়নি (কোভিডের কারণে ২০২০ আসর হয়নি)। ২০০৩ থেকে টানা পাঁচবার-সহ এখানে রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়ন তিনি।
হাঁটুর চোটের কারণে ৪০ বছর বয়সী ফেদেরারকে দেখা যাবে না এবারের টুর্নামেন্টে। এই বছর এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফরাসি ওপেন জিতে পুরুষ এককে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ডটা ২২-এ নিয়ে গেছেন নাদাল। ৩৬ বছর বয়সী তারকা ছুটছেন ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যামের দিকে।
ফেদেরারের অনুপস্থিতিতে সোমবার শুরু হতে যাওয়া উইম্বলডন স্বাভাবিকভাবে কিছুটা রঙ হারাবে। ২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ীর অভাব বোধ করছেন নাদালও। ফেদেরারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে তার নিজের এত অর্জন হয়তো সম্ভব হতো না বলেও মনে করেন তিনি।
“আমি মনে করি, কোনো না কোনোভাবে আমরা একে অপরকে অনুপ্রাণিত করি। আমি সবসময় ভাবতে চেয়েছি আমার প্রেরণা কখনোই অন্যদের কারণে আসে না, এটি নিজের থেকে আসে। তবে অবশ্যই, তার মতো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে সেই ব্যাপারগুলো জানতে সাহায্য করে যে, নিজের আরও ভালো করতে হবে।”
পায়ের চোটে এবারের উইম্বলডনে নাদালের খেলা নিয়ে জেগেছিল শঙ্কা। এই চোট নিয়েই তিনি খেলেন এবারের ফরাসি ওপেনে। সেখানে প্রতিটি ম্যাচ তিনি খেলেন ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে। এখন অবশ্য ব্যথা নেই। তবে কতদিন এভাবে থাকতে পারবেন, জানেন না নাদাল।
“আমি বলতে পারি না যে, আমি এই ইতিবাচক মুহূর্তে এক সপ্তাহ, দুই দিন বা তিন মাসের জন্য থাকব। অবশ্যই, আমি যে চিকিৎসা নিয়েছি তাতে আমার চোট পুরোপুরি ঠিক হয়নি, উন্নতি হয়নি, তবে এটি কিছুটা ব্যথা দূর করতে পারে। এটাই মূল লক্ষ্য।”
আগামী মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার অভিষিক্ত ফ্রান্সিসকো সেরুন্দলোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে উইম্বলডন অভিযান শুরু করবেন নাদাল।