প্রথম ম্যাচে হোঁচট খেয়ে শুরু করেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষকে সে সুযোগ দিলেন না নোভাক জকোভিচ। সরাসরি সেটে অনায়াসে জিতে উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে চলে গেলেন টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই। অস্ট্রেলিয়ার থানাসি কোক্কিনাকিসকে হারালেন ৬-১, ৬-৪, ৬-২ গেমে। উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে জকোভিচের ম্যাচ জিততে সময় লাগল দু’ঘণ্টার সামান্য বেশি।
শুরু থেকেই ম্যাচের রাশ নিজের হাতে নিয়ে নেন জকোভিচ। দ্বিতীয় গেমে ভেঙে দেন থানাসির সার্ভ। নিজের দ্বিতীয় সার্ভিসে টানা চারটি পয়েন্ট জিতে ৩-০ এগিয়ে যান জকোভিচ। চতুর্থ গেমে দুর্দান্ত ফোরহ্যান্ড দেখা যায় থানাসির কাছ থেকে। ম্যাচের প্রথম গেম জেতেন তিনি। ষষ্ঠ গেমে আবার থানাসিকে ব্রেক করেন জোকার। তিনবার ‘ডিউস’ হয়েছিল। তবে জকোভিচকে আটকাতে পারেননি থানাসি। পরের সার্ভিসেই সেট পকেটে পুরে নেন সার্বিয়ান এই তারকা।
দ্বিতীয় সেটের তৃতীয় গেমে আবার থানাসির সার্ভ ভাঙেন জকোভিচ। সার্বিয়ার খেলোয়াড়ের দুর্দান্ত ড্রপ শট মুগ্ধ করে দেয় দর্শকদের। এরপর বিশ্বের নাম্বার ওয়ান তারকাকে রোখা যায়নি। যদিও এই সেট চলেছে অনেকক্ষণ। সার্বিয়ান খেলোয়াড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়। কিন্তু পেরে ওঠেননি। সেরা ছন্দে থাকা জকোভিচের বিরুদ্ধে জেতার জন্য যে অভিজ্ঞতা দরকার, সেটা থানাসির কাছে ছিল না।
পুরুষ এবং মহিলা, দু’টি বিভাগেই এদিন অঘটন হয়েছে। ফরাসি ওপেনের ফাইনালিস্ট ক্যাসপার রুড দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছেন। ফ্রান্সের উগো হামবার্টের কাছে ৬-৩, ২-৬, ৫-৭, ৪-৬ হেরে যান তিনি।
মহিলা বিভাগে দ্বিতীয় বাছাই অ্যানেট কন্টাভেট হেরে গিয়েছেন। তিনি ৪-৬, ০-৬ হেরেছেন জুল নিয়েমিয়েরের কাছে। জেলেনা অস্টাপেঙ্কো ৬-২, ৬-২ হারিয়েছেন ইয়ানিনা উইকমায়ারকে। ষষ্ঠ বাছাই ক্যারোলিন প্লিসকোভা ৭-৬, ৭-৫ হারিয়েছেন তেরেজা মার্তিনকোভাকে।