এশিয়া কাপ খেলার জন্য বাংলাদেশ দল এখন শ্রীলঙ্কায়। তবে, মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে বড় এক ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচের মাত্র একদিন আগে আজ (বুধবার) লন্ডন থেকে ভেসে এলো দুঃসংবাদ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার এবাদত হোসেন চৌধুরী। শুরুতে দেশের মাটিতেই চলেছিল চিকিৎসা। কিন্তু চোট সেরে না ওঠায় বাড়তে থাকে দুশ্চিন্তা।
সেই দুশ্চিন্তাই যেন সত্য হলো। অপারেশন থিয়েটারে যাবার খবর এসেছে খানিক আগে। এবার জানা গেলো, হাঁটুর এই চোটের কারণে বিশ্বকাপটাই মিস করতে চলেছেন তিনি। অপারেশনের পর পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের ক্রিকেট থেকে বাইরে থাকতে হবে তাকে। যার অর্থ বিশ্বকাপে নিশ্চিতভাবেই এই পেসারের সার্ভিস মিস করবে বাংলাদেশ।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন এক গণমাধ্যমকে জানান, ‘আজ এবাদতের অপারেশন হচ্ছে। এরপর রিহ্যাব আছে, সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে লম্বা সময় লাগতে পারে।’ তবে ঠিক কতদিন পর তাকে আবার মাঠে দেখা যাবে তা নিশ্চিত করেননি প্রধান নির্বাচক। সাধারণত এমন ইনজুরির কারণে ৬ থেকে ৮ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয় খেলোয়াড়দের।
এর আগে ফেসবুকে এবাদত নিজেই জানিয়েছেন তার অস্ত্রোপচারের কথা। জীবনে প্রথমবার অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে এবাদত সকলের দোয়া চেয়েছেন।
ঘরের মাঠে আফগান সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এবাদত। আফগানিস্তানের ইনিংসের ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলটি করার সময় লাফ দিতে গিয়ে আম্পায়ার গাজী সোহেলের কাঁধে বাড়ি খায় এবাদতের হাত। আর এমন ধাক্কা খেয়ে রানআপে নিজেকে ঠিকঠাক থামাতে পারেননি। ফলে পেছন ঘুরে পড়ে যান মাটিতে, তখনই পায়ে আঘাত পান এবাদত।
এরপর তাকে ৪৮ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিন্তু এই সময়ে চোট গুরুত্বর অনুধাবন করতে পেরে এই পেসারকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেন ফিজিও। ধারণা করা হয়েছিল, এশিয়া কাপ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরবেন তিনি। তবে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় তাকে নিয়ে আর ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।