বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই পরিবর্তনের হাওয়া লাগে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে।
অন্তর্ভর্তিকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ মাহমুদ দায়িত্ব নেয়ার পর পর বিভাগীয়, জেলাসহ দেশের সব ক্রীড়া সংস্থা ভেঙে দেন।
এরপর পৃথক আরেক আদেশে ভেঙে দেয়া ক্রীড়া সংস্থাগুলোতে ৭ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
তারই ফলশ্রুতিতে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হলো চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার। বিভাগীয় কমিশনারকে সভাপতি এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালককে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্যের এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের যুগ্ম সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়।
কমিটিতে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ক্রীড়া অনুরাগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ইস্পাহানী গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা সালমান ইস্পাহানীকে।
ক্রীড়া সম্পৃক্ত ব্যক্তি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ আবুল বাশারকে মনোনয়ন করা হয়েছে।
খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক কোটায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহসভাপতি হাফিজুর রহমানকে।
সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক শাহনেওয়াজ রিটনকে।
এছাড়া, ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ইয়াসির আরেফিন চৌধুরীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে এডহক কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির পর শাহনেওয়াজ রিটন জানান, 'আজকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। আমরা এডহক কমিটির সদস্যরা বসে পরবর্তী কার্যক্রম ঠিক করবো।' বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার যাবতীয় কর্মকাণ্ড সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা জানালেন রিটন।