মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দুবাই যাওয়ার আগে সাকিবদের ব্যাটে চার-ছক্কার ঝড়

দেশ স্পোর্টস ডেস্ক

২২ আগস্ট ২০২২, ০৯:১১ অপরাহ্ন

দুবাই যাওয়ার আগে সাকিবদের ব্যাটে চার-ছক্কার ঝড়

মেহেদী হাসান মিরাজ ওপেনিংয়ে ভালো ব্যাট করেন, বড় বড় ছক্কা হাঁকিয়ে প্রস্তুতি সারলেন সাকিব, মোসাদ্দেক হোসেনও ভালো ব্যাট করেন।

টি-টোয়েন্টি এই সময়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফরম্যাট। আর এই ফরম্যাটেই কিনা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা খাবি খেয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এই ব্যর্থতার পেছনের কারণ হিসেবে সবসময় আলোচনা-সমালোচনা হয় যে অন্য দেশের তুলনায় পাওয়ার হিটিং না থাকায়। তবে এবার এশিয়া কাপে ম্যানেজমেন্ট থেকে দলকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে এমন যে, হয় ১৮০ না হলে ১০০। এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার জন্য এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে মিরপুরে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করেছিল ক্রিকেট বোর্ড।

ক্রিকেটাররা বিসিবি লাল দল এবং বিসিবি সবুজ দলে বিভক্ত হয়ে খেলেছে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। যেখানে লাল দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং সবুজ দলের অধিনায়ক ছিলেন আফিফ হোসেন। এই দুই ম্যাচের প্রস্তুতির হিসাব নিকাশ করে দেখা গেল ব্যাটারদের জন্য টি-টোয়েন্টির উপযুক্ত ব্যাটিং হলেও বোলারদের জন্য ছিল হতাশাজনক। গতকাল প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ ১৬৫ রান হলেও আজ দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে রান হয়েছে ২২০। 

আজ সোমবার আগে ব্যাট করতে নামে লাল দল। প্রথম ম্যাচের মত এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ এনামুল বিজয়। প্রথম ম্যাচে ৪ এবং ১৭ রানের পর পরের দিন করেছেন ১৩ রান। আজকের ম্যাচেও স্পষ্ট দেখা গিয়েছে তার ব্যাটিংয়ে জড়তা, যা ওপেনিংয়ের জন্য বড় চিন্তার কারণ। এদিকে প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও রান পেয়েছেন সাকিব। বড় ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টাই বলা যায় তিনি সফল। 

প্রস্তুতি ম্যাচে আলাদা করে নজর কেড়েছেন মোসাদ্দেক সৈকত। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ম্যাচের যে পরিস্থিতিতেই খেলেছেন রান পেয়েছেন। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও করেছেন ৪৮* রান। মাঠের চারদিকেই খেলেছেন। এদিকে প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও আজ দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধ-শতকের দেখা পেয়েছেন আফিফ হোসেন। বিমানে ওঠার আগে বেশ ভালোই ঝাঁলিয়ে নিলেন নিজেকে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবশ্য করলেন মাত্র ১২ রান। 

প্রথম ম্যাচে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে ব্যর্থ ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ব্যাট হাতে করেছিলেন ২১ রান। আজ ব্যাটে নামার সুযোগই পাননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। এদিকে দলের অন্য ব্যাটাররা শেখ মেহেদি, সাইফউদ্দিন কিংবা মেহেদী মিরাজ তিনজনই দলের প্রয়োজনে অবদান রাখার চেষ্টা করেছেন। 

ব্যাটারদের প্রস্তুতি বলার মত হলেও বোলারদের অবস্থা ছিল নাজুক। কেননা কোন বোলারই ছিলেন না তাদের চিরচেনা ফর্মে। দলের পেসারদের মধ্যে তাসকিন, এবাদত কেউই দিতে পারেননি অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান। অন্যদিকে স্পিনরাও দিয়েছেন অতিরিক্ত রান। 

এশিয়া কাপ খেলার উদ্দেশ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান ধরবে টাইগাররা। মরুর দেশে গিয়ে দিন কয়েকের অনুশীলন। তারপর ৩০ আগষ্ট প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। তার আগে ২৭ আগষ্ট শুরু হয়ে যাবে এশিয়া কাপ।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন