আগ্রাবাদ নওজোয়ান চট্টগ্রাম প্রিমিয়ারে নবাগত; উপরন্তু প্রথম ম্যাচে তারা হেরে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে। অন্যদিকে, পাইরেটস অব চিটাগাং লিগের বর্তমান রানারআপ, পাশাপাশি প্রথম ম্যাচে পেয়েছিল দাপুটে জয়। তাই, এ দু'দলের মুখোমুখি লড়াইকে যারা ভেবেছিলেন একপেশে হবে তারা নিশ্চয় ভীমড়ি খেয়েছেন।
যদিও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত একপেশেই হয়েছে। আগ্রাবাদ নওজোয়ানের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে পাইরেটস অব চিটাগাংয়ের। নওজোয়ানের করা ২০৮ রানের জবাবে মাত্র ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় শিরোপা প্রত্যাশী পাইরেটস।
সোমবার (৪ মার্চ) চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগ্রাবাদ নওজোয়ানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাইরেটস। তারা নির্ধারিত ৪৯.১ ওভারে ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায়।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ৫৪ রান করেন নাজিম সাব্বির। তার ৮৩ বলের ইনিংসটি আর্ধ ডজন চার আর একটি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল। এছাড়া, মনজু আলম ৩৯, রবিউল ইসলাম ৩৩, ইফতেখার সাজ্জাদ ২৫, মিনহাজ উদ্দিন ১৯, হামজা মাহমুদ ১৭ রান করেন।
পাইরেটসের পক্ষে আশফাক ও শাহাদাত উভয়ই নেন ৪টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় পাইরেটস অব চিটাগাং। এর পর তাদেরকে আর কোমড় সোজা করে দাঁড়াতে নওজোয়ানের বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে নওজোয়ানের বোলাররা নাকানিচুবানি খাওয়াতে থাকে পাইরেটসের ব্যাটারদের। ফলে, ২৯ ওভারে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয়ে ১১১ রানের বড় ব্যবধানে হেরে বড় ধাক্কা খায় পাইরেটস।
দলের পক্ষে অধিনায়ক রুবেল সর্বোচ্চ ২১ রান করেন। এছাড়া, সমান ১৪ রান করেন রোকন ও তাওসিফ; ১৩ রান আসে ওমরের ব্যাট থেকে। শাহাদাত করেন ১১ রান।
নওজোয়ানের পক্ষে মাজহার ৩টি, ইকবাল, রনি, রবি প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন।