আগের ম্যাচে দলের ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে বেশ। সেটা পেছনে ফেলতেই কি না, আজ শুরু থেকেই তামিম ইকবাল চড়াও হয়েছিলেন স্বাগতিক বোলারদের ওপর। এনামুল হক বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ এক শুরুই এনে দিয়েছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন ফিফটিও। তবে এরপরই তিনি ফিরে গেছেন সাজঘরে।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয়টিতেও ভালো শুরু পেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। চোটের কারণে খেলতে পারছেন না লিটন দাস। তার বদলে এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে ইনিংস সূচনা করেছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এ দুজনের জুটিতে প্রথম পাওয়ার প্লে'তে ৬২ রান করে ফেলেছে বাংলাদেশ।
একসময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত উদ্বোধনী জুটি ছিলেন তামিম ও বিজয়। কিন্তু দল থেকে বাদ পড়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন একসঙ্গে দেখা যায়নি এ জুটিতে। প্রায় তিন বছর পর আবার জুটি বেঁধেই পঞ্চাশোর্ধ রান করে ফেলেছেন এ দুজন। এর মধ্যে ব্যক্তিগত ফিফটিও তুলে নিয়েছেন তামিম।
ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেও, বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা হয়নি তামিমের। ইনিংসের ১১তম ওভারে বড় বাউন্ডারির দিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়ে গেছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১৬ রান। ক্যারিয়ারের ৫৫তম ফিফটি হাঁকাতে মাত্র ৪৩ বল খেলেছেন তামিম। যেখানে রয়েছে ১০টি চারের সঙ্গে একটি ছয়ের মার। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৫০ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ১৬ বলে ১০ রান নিয়ে খেলছেন এনামুল বিজয়। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের জায়গায় একাদশে আসা নাজমুল হোসেন শান্ত।
আজ হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে চলতি জিম্বাবুয়ে সফরে টানা পঞ্চমবারের মতো টস হেরেছে বাংলাদেশ দল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন তামিম। ইনিংসের তৃতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকান টাইগার অধিনায়ক, এক বল পর আরও একটি।
প্রথম ওভার থেকে শুরু হওয়া এই মারমুখী ব্যাটিং পুরো ইনিংসেই টেনে নেন তামিম। প্রায় প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানরেট সবসময় উঁচুতে রাখেন তিনি। তামিমের দাপুটে ব্যাটিংয়ের সামনে একপ্রকার দর্শকই ছিলেন বিজয়। প্রথম পাওয়ার প্লেতে মাত্র ১৬ বল খেলার সুযোগ পান এ ডানহাতি ওপেনার।
ইনিংসের দশম ওভারে নিজের দশম বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ৪৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন তামিম। যেখানে ছিল থার্ড ম্যান দিয়ে একটি ছয়ের মারও। অভিষিক্ত ব্র্যাডলি ইভান্সের খাটো লেন্থের ডেলিভারিতে আপার কাট করে ছয় মারেন তামিম। সেই ওভার থেকে ১৪ রান পায় বাংলাদেশ।
তামিমের ফিফটি পূরণ হওয়ার পর ১১তম ওভারে জোড়া চার মারেন বিজয়। এর মধ্যে ওভারের তৃতীয় বলে দৃষ্টিনন্দন কভার ড্রাইভে মাঠে উপস্থিত দর্শকদের বাহবা কুড়ান এ ডানহাতি ওপেনার। তবে সেই ওভারেই শেষ বলে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন তামিম। মাঠের সেই পাশে বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ মিটার।