বছরের এই সময়ে এমন বরফে আচ্ছন্ন হ্যাগলি ওভাল মাঠ আগে কখনো দেখেননি গ্রাউন্ডসম্যান রুপার্ট বুল। রাতভর তুষার পড়েছে, সকাল সাতটায়ও কনকনে ঠান্ডা, তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস!
তুষার ঝরে পড়া এই হ্যাগলি ওভালেই ত্রিদেশীয় টি–টোয়েন্টি সিরিজে আগামীকাল পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কদিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪০ ডিগ্রির তাপমাত্রার গরমের মধ্যে খেলে এসেছেন নুরুল হাসান–লিটন দাসরা।
এবার নিউজিল্যান্ডে খেলতে হবে ঠান্ডার মধ্যে। আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় বেলা তিনটায়।
নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস বলছে, বাংলাদেশ–পাকিস্তান খেলা শুরুর সময় তাপমাত্রা থাকবে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কম তাপমাত্রা আর তুষারপাতের কথা চিন্তা করে নিউজিল্যান্ডের গ্রীষ্মকালীন মৌসুম সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বরের শেষ দিকে শুরু হয়।
এর আগে নিউজিল্যান্ডে দ্রুততম মৌসুম শুরুর ঘটনা ২০১৪ সালের। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হয়েছিল ২১ অক্টোবর। এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে মৌসুম শুরু হয়ে যাচ্ছে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই।
নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম স্টাফকে বৃহস্পতিবার সকালের বর্ণনা দিতে গিয়ে বুল বলেন, ‘এই প্রথম কভার ওঠানোর আগে বরফ সরাতে হলো। প্রথমবার বলে মজাই লেগেছে। তবে সব সময় এমনটা করতে ভালো লাগবে না।’
সকালে বরফ থাকলেও খেলা শুরুর সময় সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন হ্যাগলি ওভালের এই গ্রাউন্ডসম্যান, ‘সবই শুকনা। চাইলে আজও (বৃহস্পতিবার) খেলা যাবে। মাঠের পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা খুবই ভালো। পিচও খেলার জন্য উপযোগী। বরফ নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই।’
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য তাপমাত্রা প্রতিকূল হলেও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারদের জন্য তা নয়।
তবে এরপরও গত দুই দিন লিংকনে ইনডোরে অনুশীলন করেছেন কেইন উইলিয়ামসনরা। ট্রেন্ট বোল্টকে জ্যাকেট আর লম্বা হাতার শার্ট পরে বোলিং করতে দেখা গেছে।
নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিডও বললেন ঠান্ডার কথা, ‘আসলেই ঠান্ডা আছে। তবে এর চেয়েও ঠান্ডাতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ছেলেদের। ইনভারকারগিলে তো একবার এমনই অবস্থা হয়েছিল যে মাঠে নামলে মনে হচ্ছিল, মাথায় আইসক্রিম পড়ছে। তবে আমি সৌভাগ্যবান। কোচ হিসেবে ভেতরে বসে থাকতে পারি।’
ক্রাইস্টচার্চ-ভিত্তিক ক্রিকেটার ড্যারিল মিচেলের মতে এ ধরনের আবহাওয়ার মূল চ্যালেঞ্জটা থাকবে ফিল্ডিংয়ে, বিশেষ করে ক্যাচিংয়ে।
প্রতি বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের প্রাক-মৌসুমে ক্যাচিং অনুশীলন করে থাকেন জানিয়ে বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘খালি হাতে ক্যাচ ধরাটা কঠিন হবে। এটা নিয়েই আমরা এখন কাজ করছি। কিউই হিসেবে এ ধরনের কন্ডিশনে প্রাক-মৌসুমের অনুশীলনে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’