বাংলাদেশের বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্তি দেশবাসীকে দারুণ এক বিজয়োল্লাসে কাটানোর সুযোগ করে দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টে ছয় বছর পর টি-টোয়িন্টিতে স্বাগতিকদের হারিয়ে জয়ের মুহূর্তটি যেন বাংলাদেশের বিজয় দিবসের উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করল।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ রানের জয় তুলে নিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
সম্প্রতি ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ ছিল ব্যাপক সমালোচনার মুখে। ৩২১ রানের পাহাড়সম স্কোর করেও বোলারদের ব্যর্থতায় সেই ম্যাচ হেরেছিল দল। তবে এবারের টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের পারফরম্যান্সই হয়ে উঠল জয়ের চাবিকাঠি। শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনার ম্যাচে বোলাররা নিজেদের সেরাটা দিয়েই দলের জয় নিশ্চিত করলেন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ছয় উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে। ১৪৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় ১৪০ রানে। বাংলাদেশের সফলতম বোলার ছিলেন শেখ মাহেদী হাসান। তিনি নেন চার উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আকিল হোসেনের জোড়া উইকেট শিকারে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ফিরে যান আফিফ হোসেনও। ৩ উইকেটের পতনে বেশ চাপেই পড়ে যায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে দলকে পথ দেখান জাকের আলী অনিক এবং সৌম্য সরকার। দুজনের ৪২ বলে ৫৭ রানের জুটিতে অবশ্য দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছিল ডটবল। সেই তাগিদেই বড় শট খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যের আউট হয়েছিলেন জাকের। বাউন্ডারি লাইনে দারুণ এক ক্যাচে ফিরতে হয়েছিল তাকে। এরপরেই ফিরে যান সৌম্য সরকারও। যদিও সেটা বাংলাদেশের জন্য শাপেবর হয়েই ধরা দেয়।
১ বছর পর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমেই দারুণ ব্যাটিং করেছেন শামীম পাটোয়ারী। তার ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংসে ছিল ৩ ছক্কা আর ১ চার। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ যোগ করেছেন ৫১ রান। সেটাই স্কোরকে নিয়ে যায় ১৪৭ পর্যন্ত। পরবর্তীতে আর্নেস ভ্যালি স্টেডিয়ামে সেটাই বাংলাদেশের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪৭/৬ (সৌম্য ৪৩, শামীম ২৭, জাকের ২৭, মেহেদী ২৬*; আকিল ২/১৩, ম্যাকয় ২/৩০)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯.৫ ওভারে ১৪০ (পাওয়েল ৬০, শেফার্ড ২২, চার্লস ২০; মেহেদী ৪/১৩, হাসান ২/১৮, তাসকিন ২/২৮)। ফল: বাংলাদেশ ৭ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: মেহেদী হাসান।