শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ব কাঁপে বিশ্বকাপে, রাত পোহালেই শুরু ফুটবল মহাযজ্ঞ

দেশ স্পোর্টস ডেস্ক

১৯ নভেম্বর ২০২২, ১১:২৮ অপরাহ্ন

বিশ্ব কাঁপে বিশ্বকাপে, রাত পোহালেই শুরু ফুটবল মহাযজ্ঞ

ঘড়ির হিসেবে ২৪ ঘণ্টারও কম সময় বাকি। রাত পোহালেই শেষ হবে বিশ্বকাপের ক্ষণ গণনা। চার বছর ধরে অপেক্ষার যে পালা, তা শেষ হবে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টায়। কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক দেশ কাতার এবং লাতিন আমেরিকার অন্যতম শক্তিশালী দল ইকুয়েডর। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বিশ্বকাপ ফুটবলের ৩২ দেশের এই মহারণ ঘিরে বিশ্বজুড়ে ফুটবল প্রিয় মানুষের উত্তেজনা তুঙ্গে। বাংলাদেশ যদিও বিশ্বকাপ ফুটবলের মাঠে নেই, তাতে কী? ভালোবাসা আর উন্মাদনায় কাপটাই তো ফুটপ্রেমীদের ক্রেজ। 

বিশ্বকাপ ফুটবল বরাবরই এক বিশ্বযজ্ঞের নাম। মরুর দেশ কাতারে এর আয়োজন হলেও তার ঝাঁঝ এখন বিশ্বের কোণায় কোণায়। সব শ্রেণী-পেশার মানুষের আলোচ্য বিষয় এখন বিশ্বকাপ ফুটবল। বিশ্বকাপ ঘিরে বাংলাদেশের মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত। মেসির আর্জেন্টিনা ও নেইমারের ব্রাজিলকে ঘিরেই এই জনপথের মানুষের সর্বাধিক আগ্রহ। অন্য কিছু দলর সমর্থক থাকলেও তা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার তুলনায় নগণ্য।

এশিয়ায় দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমবার হয়েছিল ২০০২ সালে জাপান-কোরিয়ায়। প্রথম এশিয়ায় হওয়া বিশ্বকাপের ট্রফি উড়িয়ে নিয়েছিল পেলের দেশ ব্রাজিল।

২০১৪ সাল বিশ্বকাপের সর্বাধিক চ্যাম্পিয়ন দেশটি আয়োজক হিসেবে পার হতে পারেনি সেমিফাইনালের গণ্ডি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দেশটি নাস্তানুবুদ হয়েছিল জার্মানির কাছে। শেষ পর্যন্ত জার্মানি প্রথম ইউরোপিয়ান দেশ হিসেবে লাতিন আমেরিকা থেকে জিতে ফিরেছিল ট্রফি নিয়ে। রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া জার্মানিকেও এবার ধরা হচ্ছে অন্যতম ফেবারিট।

৩২টি দেশ বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৮ গ্রুপে ভাগ হয়ে। ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক কাতারের সঙ্গে আছে ইকুয়েডর, নেদারল্যান্ডস ও সেনেগাল। ‘বি’ গ্রুপের ইংল্যান্ডের সাথে আছে ওয়েলস, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। ‘সি’ গ্রুপের দলগুলো হচ্ছে-আর্জেন্টিনা, সৌদি আরব, পোল্যান্ড ও মেক্সিকো।

‘ডি’ গ্রুপের চার দল হচ্ছে- ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক ও তিউনেসিয়া। ‘ই’ গ্রুপে আছে স্পেন, জার্মানি, কোস্টারিকা ও জাপান। ‘এফ’ গ্রুপের চার দল হচ্ছে- বেলজিয়াম, কানাডা, মরোক্কো ও ক্রোয়েশিয়া। ‘জি’ গ্রুপের দলগুলো হচ্ছে- ব্রাজিল, সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ক্যামরুন। ‘এইচ’ গ্রুপে আছে পর্তুগাল, ঘানা, উরুগুয়ে এবং দক্ষিণ কোরিয়া।

শুরু থেকেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখানো হয় ১৯৮২ সালে। প্রবীণ ফুটবল ভক্তদের মতে, বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনার শুরুটা তখন থেকেই। আর শুরু থেকেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের জনগণের প্রিয় দল। বাংলাদেশে টেলিভিশনে বিশ্বকাপ দেখানোর শুরুর পর থেকে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের দাপট থাকার কারণেই মূলত বাংলাদেশে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার এ একনিষ্ঠ সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি হয়; যা এখনও হেলাতে পারেনি অন্য কোন দেশ। বরং পেলে আর ম্যারাডোনার ভালোবাসা এখন আরও গভীর হয়েছে নেইমার, মেসিতে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মতো একটা সময় আমাদের দেশের আবাহনী-মোহামেডানের খেলাও ছিল তরুণ ফুটবল ভক্তদের আলোচনার প্রধান বিষয়।

বর্ণিল পতাকা

ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনের মতো দলের সমর্থন থাকলেও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জ্বর হচ্ছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা জ্বর। তাই বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই এ দুই দলের পাতাকায় ছেয়ে গেছে শহর-গ্রাম-গঞ্জের রাস্তাঘাট, দোকান, বাড়ির ছাদ, এমনকি গাড়ির ছাদও। আছে অন্যান্য দলের পতাকাও। সহজেই পতাকা পেতে বড় বড় বিপণিবিতান ছাড়াও পাড়া-মহল্লাতেও পাবেন ভ্রাম্যমাণ পতাকা বিক্রেতাদের।

ব্যস্ত তাতে কী?

ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিশ্বকাপ ফুটবল মিস করবেন, তা কী করে হয়! অনলাইনের এ যুগে অফ লাইনে ব্যস্ত থাকলেও সমস্যা নেই, প্রিয় দলের খেলা দেখতে পারেন কাজের ফাঁকে ইন্টারনেটেই। এছাড়া খেলার প্রতিটি খুঁটিনাটি খোঁজখবর রাখা আরও সহজ করে দিতে চালু হয়েছে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপস।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন