জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম দুই রাউন্ডে বাজেভাবে হারা চট্টগ্রাম তৃতীয় রাউন্ডে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এর পেছনে মূল কারিগর চট্টগ্রাম দলের টপ অর্ডার ব্যাটার সাজ্জাদুল হক রিপনের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনবদ্য সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরি পেতে পারতেন পারভেজ রিপনও, যদি না ৯৫ রানের সময় দুর্ভাগ্যজনক রান আউট না হতেন। ফলে, চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩৭১ রান।
কক্সবাজারে ঢাকা ডিভিশনের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাব্বিরকে হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। এরপর চট্টগ্রামের আরেক তরুণ তুর্কী পারভেজ ইমনকে নিয়ে ২২১ রানের জুটি গড়ে চট্টগ্রামকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান রিপন।
কক্সবাজার একাডেমি মাঠে রোববার (৩ নভেম্বর) স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি করেন সাজ্জাদুল। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির সম্ভাবনা ছিল পারভেজেরও। কিন্তু রান আউট হওয়ায় তা করতে পারেননি তিনি।
সাজ্জাদুল ও পারভেজের বড় জুটির পর ঢাকার বিপক্ষে দ্বিতীয় দিনে ৩৭১ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। পরে দিনের শেষ দিকে ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২২ রান করে ঢাকা। ৩৪৯ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবে তারা।
আগের দিনের শতকছোঁয়া অবিচ্ছিন্ন জুটিকে রোববার ২২১ রানে নিয়ে যান রিপন ও ইমন। ৫৪তম ওভারে তাইবুর পারভেজের বল অন সাইডে ঠেলে রানের জন্য ছোটেন ইমন। কিন্তু দুই ব্যাটসম্যানের কেউই ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।
শেষ মুহূর্তে ক্রিজে ফেরার চেষ্টা করেন ইমন। তাতে কোনো লাভ হয়নি। রান আউট হয়ে ব্যাট ছুড়ে মারেন বাঁহাতি ওপেনার। মাঠ ছাড়ার সময়ও নতুন ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন দিপুকে উত্তেজিতভাবে কিছু বলতে থাকেন তিনি।
৯ চার ও ২ ছক্কায় ১৪৪ বলে ৯৫ রান করেন ইমন। এটিই তার সেরা ইনিংস। তার বিদায়ে ভাঙে ২২১ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি।
সাজ্জাদুল করেন ১৩৯ রান। ১৮৫ বলে ১৪টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা মারেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় দিন শেষে)
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৯৮ ওভারে ৩৭১ (আগের দিন ১০৭/১) (পারভেজ ৯৫, সাজ্জাদুল ১৩৯, শাহাদাত ৩১, শামীম ৩৬, নাঈম ২০, ইরফান ১, মুরাদ ০, শরিফ ১৮, ইফরান ১০, ইয়াসিন ২*; সুমন ১৬-৫-৪৭-০, রিপন ১৪-২-৫২-২, এনামুল ১৪-২-৭৪-২, শুভাগত ১৭-৫-৫৫-২, নাজমুল ২৯-২-১০৪-১, মোসাদ্দেক ৩-০-৭-০, তাইবুর ৫-০-১৮-১)
ঢাকা ১ম ইনিংস: ৬ ওভারে ২২/০ (আশিকুর ১৩*, জয়রাজ ৯*; ইফরান ২-০-৩-