ভারতের ইনিংস ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার ঝড় আর বিরাট কোহলির শৈল্পিক ব্যাটের ছোঁয়াময়। তাতে করে ভারত সেমিফাইনালে ১৬৮ রানের পুঁজি পায়। সেটি তাড়া করতে গিয়ে ভারতের শেষের ঝড় তাদের উপরই ফিরিয়ে দেন দুই ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ও জস বাটলার। এবং সেটি এতো ভয়ঙ্করভাবে যে ভারতের সব বোলার মিলেও এ দুজনকে আউট করতে পারেনি। ১০ উইকেটের বড় হারে আবারও নকআউটে আউট হয়ে গেল ভারত, তাও ৪ ওভার হাতে রেখে!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইংলিশ দুই ওপেনারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৩ রান করেছে ইংল্যান্ড। ১০.১ ওভারেই ইংল্যান্ড পূরণ করে ফেলে ১০০ রান। ১৩.৫ ওভারে পূর্ণ হয়ে যায় দেড়শ রান।
রান তাড়া করতে গিয়ে হেলস ঝড়ের বেগে মাঠের চারদিকে ভারতীয় বোলারদের বলগুলো ছয়-চার আকারে পাঠান। সে তুলনায় বাটলার ছিলেন কিছুটা নিরব, কিন্তু ঘাতক। এই দুজনই ভারতের সাথে মেলবোর্নের দূরত্ব বাড়িয়ে দেন অনেক বেশি। ক্রিকেট বিশ্ব পাক-ভারত ফাইনালের লড়াই মিস করলেও তাতে ইংরেজদের কি এসে যায়! তারা তো আগেই ঘোষণা দিয়েছিল পাক-ভারত ফাইনাল তারা হতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে তারা।
এর আগে টসে জিতে ভারেতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠালে তারা ২০ ওভারে তোলে ১৬৮ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৯ রানে লোকেশ রাহুলের উইকেট হারায় ভারত। শুরুতেই ধাক্কা খাওয়া দলটি প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান করে। ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়ান বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা। তবে তাতে ৬ ওভারে ৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি ভারতীয়রা।
দ্বিতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন রোহিত। ভারতের অধিনায়ককে ফিরিয়ে সে জুটি ভাঙেন ক্রিস জর্ডান। বড় স্কোর করতে পারেননি সুর্যকুমার যাদবও। ১০ বলে ১৪ রান করে ফিরেছেন আদিল রশিদের বলে।
চতুর্থ উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন কোহলি। ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে পরের বলে আউট হন ডানহাতি তারকা এ ব্যাটার। শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তার ৩৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে ১৬৮ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় ভারত।