তামিম ইকবালের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর সবার ধারণা ছিল আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের কাঁধেই থাকবে অধিনায়কত্ব। সবার ধারণার পথেই হাঁটল বিসিবি। শুক্রবার গুলশানে নিজ বাসভবনে এটি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
সাকিবকে অধিনায়ক করা প্রসঙ্গে আজ (১১ আগস্ট) নাজমুল বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের সাকিবকে অধিনায়ক করা হয়েছে। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের দল আগামীকাল ঘোষণা করা হবে। আপাতত এশিয়া কাপের ১৭ জনের দল দেবেন নির্বাচকেরা।’
গত ৩ আগস্ট ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। এরপর থেকেই নতুন অধিনায়ক খুঁজছিল বিসিবি। গত ৮ আগস্ট পরিচালকদের জরুরি সভাও ডাকা হয় এ ব্যাপারে। যদিও অধিনায়ক ঠিক করা ছাড়াই সে সভা শেষ হয়।
তবে জানা যায়, অধিনায়কত্বের ব্যাপারটি নির্ভর করছে সাকিবের ইচ্ছার ওপর। সাকিব যদি টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক থেকেই ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব করার তৃতীয় দায়িত্বটি নিতে চান, তা বরং সাদরেই গ্রহণ করবে বিসিবি। ফলে অধিনায়কত্বের বল ছিল সাকিবের কোর্টেই।
সাকিব ছাড়াও সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে ছিল লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের নামও। তবে শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হলো সাকিবকেই। ওয়ানডে সংস্করণে সাকিবের নেতৃত্ব দেওয়া অবশ্য এটিই প্রথম নয়।
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৫০টি ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। সর্বশেষ ২০১৭ সালে এ সংস্করণে অধিনায়কত্ব করেছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, এরপর ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব ছিল তাঁর।