রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে অস্থির সময় পার করছে শ্রীলঙ্কা। গণ আন্দোলের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশে। এ অস্থিরতার মধ্যেও এশিয়া কাপ ক্রিকেট আয়োজনে আত্মবিশ্বাসী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।
আগস্ট মাসের শেষ দিকে মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে ২০২২ সালের এশিয়া কাপ। এবারের আসরের স্বাগতিক দেশ শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বর্তমান সংকটের কারণে তাদের স্বাগতিক হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। শুক্রবার ছয় দলের এ এশিয়া কাপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
সিদ্ধান্ত যাই হোক, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সচিব মোহন ডি সিলভা পরিস্কারভাবেই জানালেন এশিয়া কাপ আয়োজন করতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। তার মতে, দেশে চলমান গণ আন্দোলনের বাইরেই রয়েছে ক্রিকেট। যার প্রমাণ জুন-জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্ট, পাঁচ ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি আয়োজন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সফল পূর্ণাঙ্গ সিরিজ আয়োজনের পর শনিবার থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কা। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে ফেলেছে পাকিস্তান। তাই এশিয়া কাপের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী লঙ্কানরা।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে মোহন ডি সিলভা বলেছেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কায় এবারের এশিয়া কাপ আয়োজনের ব্যাপারে খুব আত্মবিশ্বাসী। আমরা মাত্রই দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ খেললাম, যেখানে গলে দুটি টেস্ট ছিল। দেশে এখন পাকিস্তান আছে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। আগামী ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে মূল পর্ব। এর আগে ২০ থেকে ২৬ আগস্ট হওয়ার কথা বাছাইপর্ব। পাঁচ টেস্ট খেলুড়ে দেশ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাছাই পেরিয়ে যোগ দেবে একটি দেশ।