উইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ৯ উইকেটের দাপুটে জয়ের পর তামিম ইকবাল বেশ জোর গলায় জানালেন, সিরিজ জিতে যাওয়ায় শেষ ম্যাচে একাধিক পরিবর্তন দেখা যাবে। বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়া হবে বাকিদের। তবে ম্যাচের দিন দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। একাদশে মাত্র একটি পরিবর্তন। পেসার শরিফুল ইসলামের জায়গায় স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মুহূর্তেই শোরগোল পড়ে গেল, কথা দিয়েও রাখলেন না অধিনায়ক।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে আগের দুই ওয়ানডের পর তৃতীয়টিও জিতেছে বাংলাদেশ দল। ৪ উইকেটে হারিয়ে স্বাগতিকদের ধবলধোলাইয়ের স্বাদ দিয়েছে। সিরিজটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ না হওয়ায় এই ম্যাচের পয়েন্ট নিয়ে চিন্তা ছিল না টাইগারদের। সে হিসেবে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা হতো তাদের বড় সুযোগ। অথচ কথা দিয়েও শেষ পর্যন্ত তামিম কথা রাখলেন না। কেন?
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন তামিম, ‘আমি যখন ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলেছি তখন তারা মনে করেছে যে আমাদের পূর্ণ শক্তি নিয়ে যেতে হবে। আমাদের একটা পরিবর্তন করার দরকার ছিল কারণ, অনেকটা আগের মতো একইরকম উইকেট। তখন আমাদের একজন পেস বোলার কমিয়ে তাইজুলকে খেলানোর সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু আমি যে কথাটা বলেছিলাম, আমার অবশ্যই সেটাই ইচ্ছে ছিল। তবে যেটা ম্যানেজমেন্ট বলেছে, আমি সেটাতেও সন্তুষ্ট।’
এদিন একাদশে যে একটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ দল, সেটিতেই বাজিমাত। দীর্ঘ প্রায় ২৮ মাস পর ওয়ানডেতে ফিরেই ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তাইজুল। আরো পরিবর্তন আনলে এমন সাফল্য হয়তো আরো দেখা যেত! তবে তামিম এতটুকু আশ্বস্ত করেন যে, উইন্ডিজ ম্যাচেই সব শেষ নয়। এবার না পারলেও এই সংস্কৃতিটা খুব দ্রুতই তৈরি করবেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে সামনে এইরকম বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতেই হবে। না হলে আমি কীভাবে বুঝতাম তাইজুলের এমন কোয়ালিটি আছে বা মোসাদ্দেকের বোলিং কোয়ালিটি আছে? তো সামনে কোনো না কোনো সময় আপনার বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতেই হবে। একসাথে আপনি পাঁচজনকে পরিবর্তন করবেন না কিন্তু একজন-দুইজন করে যদি পরিবর্তন করা যায় সেটা বেটার।’
সঙ্গে যোগ করেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক, ‘আপনি যদি দেখেন বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা দলগুলো তাই করে। তারা সিরিজ জেতার পর পরিবর্তন আনে। আমাদের কিন্তু তাই করতে হবে। আমাদের একটু সাহস দেখিয়ে জিনিসগুলো করতে হবে। এটাও বুঝতে হবে এর আগে আমরা করিনি। তবে আমি নিশ্চিত আপনারা ভবিষ্যতে এগুলো দেখবেন।’