ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জয় দিয়ে শুরু করে চেলসি ও টটেনহাম। পরে সেই জয়ের ধারা টটেনহাম ধরে রাখতে পারলেও হোঁচট খেয়েছে চেলসি। পাঁচ ম্যাচে দুটি জয়, দুটি হার, আরেকটি ম্যাচ করেছে ড্র। অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচে টটেনহামের জয় চারটি। এক ম্যাচে ড্র করেছিল তারা। তাই ফুলহামের বিপক্ষে টটেনহাম যখন মাঠে নেমেছিল ছন্দ ধরে রাখতে, ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে চেলসির মিশন ছিল জয়ে ফেরা। ম্যাচ শেষে দুই দলই কাঙ্ক্ষিত জয় পেয়েছে। যদিও টটেনহামের মতো সহজে জয় আসেনি চেলসির।
টমাস টুখেল সাধারণত ৩-৪-৩ অথবা ৪-২-৩-১ ফরমেশনে দলকে খেলালেও এদিন মাঠে নামেন ৩-৫-২ ফরমেশনে। যদিও মাঠের খেলায় নতুন কৌশলেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। প্রথমার্ধে ৭০ শতাংশের বেশি বল পায়ে রাখলেও গোলপোস্ট বরাবর একটা শটও নিতে পারেননি টমাস টুখেলের দল। গোলপোস্ট বরাবর শট নিতে পারেনি ওয়েস্ট হামও।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় চেলসি। অভিষিক্ত ফোফানা দারুণ শটে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করলেও সেটা আর হয়ে ওঠেনি। উল্টো ৬২ মিনিটে ওয়েস্ট হামের হয়ে গোল করেন মিখাইল আন্তোনিও। পিছিয়ে পড়ে আরও গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে টুখেলের দল চেলসি। ৬৫ মিনিটেই সমতায় ফেরার সুযোগ তৈরি করে তারা। তবে সেবারও গোল পায়নি। ম্যাচ হারার শঙ্কায় থাকা চেলসি অবশেষে গোল পায় ৭৬ মিনিটে।
চিলওয়েলের ফ্লিকে সমতায় ফেরে তারা। পরে কাই হাভার্টজের গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি।প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই চেলসির জালে বল পাঠায় ওয়েস্ট হাম। তবে ভিএআরে সে গোল বাতিল হলে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি।
ফুলহামের বিপক্ষে ৭ মিনিটেই গোল পেতে পারতেন হ্যারি কেইন। বার্নড লেনোর বীরত্বে গোল পাননি। কয়েক মিনিট পরই আবারও সুযোগ আসে টটেনহামের সামনে। এবার সুযোগ মিস করছেন রিচার্লিসন। দারুণ কিছু সুযোগ মিসের পর সন গোল পান। তবে অফসাইডের কারণে সে গোলও বাতিল হয়। প্রথমার্ধজুড়েই আক্রমণ অব্যাহত রাখে টটেনহাম। ৪০ মিনিটে গোলের দেখা পান হইবিয়া। এ মৌসুমে এটা তাঁর দ্বিতীয় গোল।
প্রথম হাফে যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই দ্বিতীয় হাফ যেন শুরু করেন কেইনরা। তবে ফুলহাম গোলকিপার লেনোর দক্ষতায় ব্যবধান বাড়েনি। তবে ৭৫ মিনিটে কেইন গোল করেন। প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তিন নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন কেইন। শেষ দিকে ফুলহামের হয়ে মিত্রোভিচ গোল করলে শুধু ব্যবধানই কমে।