আগের দুই ম্যাচেই উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ রানের বেশি পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। সিরিজের শেষ ম্যাচেও সে পথে হাঁটছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে পঞ্চাশের আগেই ভেঙে গেছে উদ্বোধনী জুটি। পরে খালি হাতে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম পাওয়ার প্লের ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬৮ রান। তামিম আউট হয়েছেন ১৯ রান করে। গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফিরেছেন শান্ত। একই ওভারে খালি হাতে আউট হয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিমও। এনামুল বিজয় খেলছেন ৪৪ রান নিয়ে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে সাবধানী শুরুই করেছিলেন তামিম ইকবাল। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার আভাস দেন তিনি। অধিনায়কের দেখাদেখি হাত খুলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের গতি বাড়ান আরেক ওপেনার বিজয়ও।
কিন্তু ইনিংসের অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে হয় সর্বনাশ। অফসাইডের দিকে খেলেই সিঙ্গেলের জন্য ডাক দেন বিজয়। সাড়া দিয়ে প্রায় মাঝ পিচে চলে যান তামিম। কিন্তু স্কয়ার অঞ্চল থেকে বলটি থামিয়ে দেন ওয়েসলে মাধভের। তার থ্রো ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে ১৯ রান করা তামিমের বিদায়ঘণ্টা বাজান এনগারাভা।
সেই ওভারেই এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে দৃষ্টিনন্দন একটি ছক্কা হাঁকান বিজয়। কিন্তু পরের ওভারেই ঘটে বিপর্যয়। ওভারের প্রথম বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন নাজমুল শান্ত। দুই বল পর আপার কাট করে থার্ড ম্যাচে এনগারাভার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন মুশফিকুর রহিম। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথম দুই ওয়ানডের মতো এবার শেষ ম্যাচেও টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুই ম্যাচের মতো এবারও আগে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এটি ৪০০তম ম্যাচ। এখন পর্যন্ত ৩৯৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে জয় ১৪৩ ম্যাচে আর পরাজয় ২৪৯টিতে, ফল আসেনি বাকি সাত ম্যাচে।
২০০৪ সালে নিজেদের ১০০তম ওয়ানডেতে ভারতকে ১৫ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পাঁচ বছর পর ২০০তম ওয়ানডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় ৩ উইকেটে। আর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ৩০০তম ওয়ানডেতে ভারতের কাছে পরাজয় ১০৯ রানে।