বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সেমিফাইনালে উঠতে পারেননি ইমরান। প্রাথমিক পর্বে চতুর্থ হলেও হিট থেকে নিজের নাম সেমিফাইনালে তুলতে পারেননি। চার নম্বর হিটে সবাই যখন দৌড়াচ্ছে, বাংলাদেশের ইমরান শুরুই করতে পারেননি। বিশ্ব অঙ্গনে ফলস স্টার্ট ঝামেলা এর আগেও তার হয়েছে। সার্বিয়ায় বিশ্ব ইনডোরের সেমিফাইনালে তিনি দৌড় শুরু করে শেষ করেননি।
ইমরান মূল হিটে দৌড় শুরু করতে না পারলেও প্রথম পর্বে যে পারফরম্যান্স করেছেন সেটাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক ভালো। বাংলাদেশের কোনো অ্যাথলেট বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটারে এর চেয়ে কম টাইমিংয়ে দৌড়ায়নি এবং পরবর্তী রাউন্ডের জন্য কোয়ালিফাইও হয়নি কখনো৷
ইমরান চার নম্বর হিটে অংশ নেন। এই হিটগুলো থেকে প্রতি হিটে প্রথম তিন জন এবং সব হিট মিলিয়ে সর্বোচ্চ সেরা তিন টাইমিংধারী সেমিফাইনালে উঠেছেন। সেমিফাইনালে ওঠা স্প্রিন্টারদের মধ্যে অনেকেই ১০ সেকেন্ডের নিচে দৌড় শেষ করেন। কয়েকজন রয়েছে ১০ সেকেন্ডর ওপরে। তবে সেই টাইমিং ১০.২ এর নিচে। সেখানে বাংলাদেশের টাইমিং ১০.৪৭। বিশ্ব মঞ্চের সেমিফাইনালে যাওয়া থেকে বাংলাদেশ এখনো বেশ দূরত্বে।
আমেরিকার সময় সকালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক পর্বে ইমরান ১০.৪৭ সেকেন্ড দৌড়ে ২৫ জনের মধ্যে চতুর্থ হয়ে মূল হিটে কোয়ালিফাই করেন। ইমরান নিজের সেরা টাইমিংও করেছেন। বাংলাদেশে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে তার টাইমিং ছিল ১০.৫০ সেকেন্ড। সেই জাতীয় রেকর্ডের টাইমিংয়ের চেয়ে আরো ০.০৩ সেকেন্ড কমিয়ে ১০.৪৭ করেছেন।
দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে দ্রুততম মানব মালদ্বীপের হাসান সাঈদ ১০.৭৭ সেকেন্ডে দৌড়েছেন৷ বাংলাদেশের ইমরান তার চেয়ে কম টাইমিং দৌড়ে স্বর্ণের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। শ্রীলঙ্কার অ্যাথলেট এই চ্যাম্পিয়নশিপে ১০. ১৯ সেকেন্ড টাইমিংয়ে দৌড়িয়েছেন। এই স্প্রিন্টার অংশ নিলে বাংলাদেশের এসএ গেমসে স্বর্ণের আশা আর থাকবে না।