টেনিস ফেডারেশনের নির্বাচনে আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আগেই। আজ রোববার নির্বাচনের দিনে আকর্ষণ ছিল মূলত সহ-সভাপতি পদে। পাঁচ পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন সাত জন। হায়দারের শক্তিশালী প্যানেলে থেকেও শেষ পর্যন্ত সহ-সভাপতি পদে জিততে পারেননি মোহাম্মদ আলী দ্বীন। পঞ্চম সহ-সভাপতি হয়ে চমক দেখিয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক সচিব ও টেনিস ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম।
পাঁচ সহ-সভাপতির মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৭ ভোট পেয়েছেন জসিম উদ্দিন। তার থেকে সাত ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় সহ-সভাপতি হয়েছেন মোতাহের হোসেন সাজু। যিনি বাফুফের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। এর পরের তিন সহ-সভাপতির ভোটগুলো যথাক্রমে সেলিম ৬৭, নেয়াজ আহমেদ ৬৩ ও মাসুদ করিম ৫৩। ১৭ বছরের টেনিসের সঙ্গে কাজ করা দ্বীন পেয়েছেন মাত্র ৪২। এই পদে সর্বনিম্ম ভোট পেয়েছেন সাবেক তারকা নারী সাঁতারু লায়লা নূর ( ৩৯)।
দ্বীন টেনিসে প্রায় দেড় যুগের বেশি সময়। দীর্ঘদিন টেনিসে কাজ করেছেন। ১৩ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। হায়দারের শক্তিশালী প্যানেলে থেকেও দ্বীনের হারাটা বেশ বিস্ময়ের। কিছুটা চাপা ক্ষোভ জন্ম হলেও এই কমিটিকে শুভ কামনা জানিয়েছেন সাবেক সহ-সভাপতি, ‘যারা জিতেছে তারা যোগ্য এবং টেনিসের উন্নতি করতে পারবে। গত কয়েক বছর টেনিসে অনেক সময় দিয়েছি। এখনো কিছুটা বিশ্রাম নেয়ার সময় পাব।’
দ্বীন বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে নির্বাচন স্থল ত্যাগ করেছেন। হায়দারের মেয়ে ক্ষুদে টেনিস খেলোয়াড় বিজিতকে সবার গলায় ফুল পরিয়ে দিয়েছেন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভা কক্ষে আজ ভোটাভুটি হয়েছে। ৮১ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। সহ-সভাপতি ছাড়া কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য পদে ভোট হয়েছে। কোষাধ্যক্ষ পদে জিতেছেন খালেদ আহমেদ। সদস্যদের মধ্যে রোকন উদ্দীন আহমেদ ৭৫ ভোট পেয়েছেন সর্বোচ্চ আর সাবেক জাতীয় তারকা ফুটবলার ও টেনিসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ শেখ আসলাম ৬৩ ভোট পেয়ে সর্বশেষ সদস্য হয়েছেন।
২০০৯ সালের পর টেনিসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বর্তমান সচিব পরিমল সিংহ টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন ছয় মাসের কম সময় আগে। এর মধ্যে তিনি নির্বাচন আয়োজন করেছেন যা বিগত ১৩ বছরে অন্য কেউ পারেনি।