জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফরা যার যার দেশে ফিরবেন। এশিয়া কাপের আগ পর্যন্ত ছুটিতে থাকার কথা ছিল তাদের। ছুটি কাটিয়ে সরাসরি দুবাইয়ে যেতেন ডমিঙ্গো-ডোনাল্ডরা।
কিন্তু জিম্বাবুয়েতে ভরাডুবির পর কোচিং স্টাফদের ঢাকায় ডেকেছে বিসিবি। তাদের থেকে সামনের মহাদেশীয়, ত্রিদেশীয় এবং বিশ্বকাপের পরিকল্পনা জানবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমনটিই জানিয়েছেন ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস।
মিরপুরে তিনি বলেছেন, ‘আমরা তাদের বলেছি এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে ঢাকায় আসতে। যেন আমরা বিস্তৃত পরিকল্পনা করতে পারি। শুধু এশিয়া কাপ নয়, আমাদের ব্যাক টু ব্যাক খেলা আছে। আমাদের খেলতে হবে, খেলোয়াড়দের উপস্থিতিও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তাদের থেকে পরিকল্পনা জানতে চাইব।’
বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নতিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কঠোর এই কোচ মাঠ, মাঠের বাইরে সবকিছুই নিজের নিয়ন্ত্রণ রেখেছিলেন দক্ষ হাতে। দল পরিচলনায় নিজের পরিকল্পনা, নিজের সিদ্ধান্তকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও সামলে নিতেন খুব সহজে। কড়া হেডমাস্টার হিসেবে পরিচিত এই কোচের মতো দল পরিচালনায় ডমিঙ্গোর আগ্রাসন চান জালাল ইউনুস।
তার মতে, ‘প্রত্যেক কোচের কোচিং মেথড আলাদা। কেউ একটু এগ্রেসিভ হয়, কেউ হয় না। হাথুরুর (হাথুরুসিংহে) কোচিং স্টাইলটা ছিল এগ্রেসিভ, যেটা আমাদের দরকার। কিন্তু আমাদের যারা সাপোর্টিং স্টাফ আছেন প্রত্যেকেই জ্ঞানী। বিশেষ করে হেড কোচ। কিন্তু সে হয়তো ওই ধরনের এগ্রেসিভ না। যেটা আমরা চাই, এগ্রেসিভ হলে খেলোয়াড়কে ওইভাবে মোটিভেট করতে পারে। এখানে ওই ধরনের একজন দরকার যে নাকি খেলোয়াড়দের থেকে সেরাটা বের করে নেবে। স্লো খেললে অ্যাটাকিং খেলে রানটা আদায় করে নেবে।’
১৯ আগস্ট তাদের প্রত্যেকের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বোর্ডের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে নিয়ে ২০ আগস্ট বৈঠকে বসার কথা কোচিং স্টাফদের।
আগামী ২৭ অগাস্ট শুরু হবে এবারের এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ প্রাথমিক পর্বে খেলবে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। জাতীয় দলের এশিয়া কাপের মূল প্রস্তুতি, অনুশীলন হবে দুবাইতেই।
জালাল ইউনুস যোগ করেন, ‘এশিয়া কাপের জন্য আমরা সাতদিন সময় পাচ্ছি। আমরা দুইদিন আগেই যাচ্ছি। এর মধ্যে একদিন হয়তো রেস্ট ডে, বাকি ছয়দিন আমরা অনুশীলন করব।’