টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আবির্ভাবের পর এই ফরম্যাটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে তরতর করে। টি-টোয়েন্টি মানেই চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি, স্বল্প সময়ে খেলা শেষ, টান-টান উত্তেজনা; মোট কথা বিনোদনের অন্যতম এক প্যাকেজ।
যার ফলে বিশ্বজুড়েই টি-টোয়েন্টি ছড়িয়ে পড়েছে মারাত্মকভাবে। এরমধ্যে আসছে মাস অক্টোবরেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গড়াবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আরেকটি আসর। তারজন্য জাতীয় দলগুলো নিজেকে প্রস্তুত করতে নিজেদের মধ্যে সিরিজ আয়োজন করে লড়ছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট তো আছেই।
বাংলাদেশের ক্রীকেট প্রেমীদের জন্য আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) বড় ব্যস্ততম রাত। আজ একদিনেই আলাদা তিন মাঠে খেলতে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আলাদা তিন দল। কেবল সেই তিন ম্যাচ হলেই চলতো। কিন্তু ক্রিকেট ভক্তদের জন্য আরও দুটি হাই ভোল্টেজ ম্যাচ অপেক্ষা করছে। যেখানে মাঠে নামবে ভারত, পাকিস্তানের মতো দল।
অর্থাৎ, এক রাতেই পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দিকে নজর রাখতে হবে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের। সবচেয়ে বড় বিষয়, খেলাগুলো সবগুলো প্রায় কাছাকাছি সময়ে শুরু হবে। ফলে এক জোড়া চোখের উপর চাপ যে একটু বেশিই যাবে, সে আর বলতে।
সন্ধ্যার পর ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টি দিয়ে যার শুরু। খেলাটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে। খেলাটি সরাসরি দেখা যাবে স্টার স্পোর্টসের পর্দায়।
হাইভোল্টেজ ম্যাচ শুরু হওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশের দুটি দল মাঠে নামবে এই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই খেলতে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম বাংলাদেশ জাতীয় দল খেলবে আরব আমিরাতের বিপক্ষে। রাত ৮টায় শুরু ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে গাজী টিভি।
ঠিক একই সময়ে দেরাদুনে বাংলাদেশ লিজেন্ডস মাঠে নামবে ভারতীয় লিজেন্ডসদের বিপক্ষে। সেই ম্যাচটি দেখাবে টি স্পোর্টস। যদিও টিভি পর্দায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচও দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনটি ম্যাচ চলাকালীন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে করাচিতে মাঠে নামবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। দুই দল সাত ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থটি খেলবে আজ।
রাত ৯টায় বাংলাদেশ নারীদের খেলার মধ্য দিয়ে পাঁচ ম্যাচের এক ব্যস্ত জার্নির শেষ হবে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফাইনালে বাংলাদেশের নারীরা লড়বে আইরিশদের বিপক্ষে।
এতসব ম্যাচের পাশাপাশি যদি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে জ্যামাইকা তালওয়াস এবং সেইন্ট লুসিয়া ম্যাচের দিকে আপনি চোখ রাখতে পারেন, তাহলে নিঃসন্দেহে আপনাকে ক্রিকেট প্রেমী হিসেবে আখ্যায়িত করাই যাবে।