এক জোড়া জয় নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরে খুব বেশি বিশ্রাম মিলবে না টাইগার বাহিনীর। ডিসেম্বরের শুরুতেই ঘরের মাঠে ভারতের সাথে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ টাইগারদের।
তিনটি একদিনের ম্যাচ আর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ১ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় পা রাখবে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকার মিরপুরের শেরে বাংলায় শুরু ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
বাংলাদেশ সফরে ভারত আসছে পূর্ণশক্তির দল নিয়েই। ফাস্টবোলার জাসপ্রিত বুমরাহ ইনজুরির কারণে শুধু আসছেন না। এছাড়া রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়াসহ বড় তারকাদের সবাই আসছেন বাংলাদেশ সফরে।
টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজের জন্য পৃথক দলও ঘোষণা শেষ ভারতের। এদিকে ভক্ত ও সমর্থকদের কৌতুহলি প্রশ্ন, বাংলাদেশের প্রস্তুতি শুরু কবে?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্বকাপের পর দেশে ফিরে যাতে ক্রিকেটাররা বিশ্রাম নিতে পারেন, তাই বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু হবে একটু দেরিতে, ২৪ নভেম্বর।
তার আগে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ক্রিকেটাররা অনুশীলন করতে পারবেন। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৭ নভেম্বরের আগে দল ঘোষণার কোনই সম্ভাবনা নেই।
এদিকে তারও আগে ১৪ নভেম্বর রাজধানী ঢাকা আসছেন হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। জানা গেছে, তিনি আসার পরই নির্বাচকদের সঙ্গে বসে দল চূড়ান্ত করবেন। মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আরও জানিয়েছেন, প্রথমে ওয়ানডে স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে, তারপর টেস্ট দল।
এদিকে রাসেল ডোমিঙ্গো যে শুধু ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট দল নির্বাচনী প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতেই আসবেন, এমন নয়। তার বোর্ডে আগামী এক বছরের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা জমা দেওয়ার কথা। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন যা আগেই জানিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বিসিবি যখন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে শ্রীধরন শ্রীরামের সঙ্গে চুক্তি করে, তখনই বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন, রাসেল ডোমিঙ্গোই হেড কোচ থাকবেন। তবে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাবেন না এবং দলের সঙ্গে সম্পৃক্তও থাকবেন না। এখন আগামী দিনের জন্য ডোমিঙ্গোকে পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি এক বছরে কী কী করতে পারেন, তা লিখিতভাবে বোর্ডে জানাতে হবে।
জানা গেছে, ১৪ নভেম্বর দেশে এসে বিসিবি সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের সঙ্গে বসে নিজের পরিকল্পনার কথা জানাবেন ডোমিঙ্গো।