বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানকে নিয়ে শুরু হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে প্রথম পর্বে পাকিস্তানের কাছে পাত্তায় পায়নি স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সামনে চেনায় যায়নি সেই পাকিস্তানকে। একপেশে ম্যাচে তারা হেরে যায় ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
পাকিস্তানের দেয়া ১৩১ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই দুর্দান্ত শুরু করে দুই কিউই ওপেনার ফিন অ্যালন ও ডেভন কনওয়ে। এর মধ্যে অ্যালন ছিলেন খুনে মেজাজে। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে তছনছ করে দেন তিনি। মাত্র ৩১ বলেই ফিফটি আদায় করে নেন অ্যালন। কনওয়ে একটু রয়েসয়ে খেললেও অ্যালন ছিলেন রুদ্রমুর্তিতে। ফলে মাত্র ১০.৩ ওভারেই কোন উইকেট না হারিয়ে ১০০ রান তুলে ফেলে নিউজিল্যান্ড। শাদাব খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ার আগে তিনি খেলেন ৪২ বলে ৬২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। তাতে ছিল আধাডজন ছয়ের মার, সাথে ছিল একটি চার।
অ্যালন আউট হয়ে গেলেও ৪৬ বলে ৪৯ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন কনওয়ে। তার সাথে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্যাপ্টেন উইলিয়ামস।
এর আগে ক্রাইস্টচার্চে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান ইনিংস বড় করতে পারেননি (১৭ বলে ১৬)। তবে বাবর আর শান মাসুদ জুটি গড়ার পথেই ছিলেন।
অষ্টম ওভারে ১ উইকেটে ৫৪ রান ছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে আর ২৩ রান তুলতে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আনপ্রেডিক্টেবলরা। শান মাসুদ (১২ বলে ১৪), শাদাব খান (৭ বলে ৮), বাবর আজম (২৩ বলে ২১), হায়দার আলি (১১ বলে ৮) অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে গেলে চাপে পড়ে পাকিস্তান।
১৩.২ ওভারে ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে তোলার দায়িত্ব নেন আসিফ আলি আর ইফতিখার আহমেদ। তাদের জুটিতে আসে ৩৫ বলে ৫১ রান।
২৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৭ করে আউট হন ইফতিখার। তবে আসিফ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন, ২০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেন ২৫ রান।
নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি, মিচেল স্যান্টনার আর মাইকেল ব্রেসওয়েল নেন দুটি করে উইকেট।
ডিএস