মুর্শিদা খাতুন আর অধিনায়ক নিগার সুলতানার দারুণ দুই ফিফটি শুরুর ঝাপটা সামলে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিল ১২৯ রানের বড় পুঁজি। এরপর ফারিহা তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে মালয়েশিয়াকে ৪৩ রানে থামিয়ে দিয়ে ৮৮ রানের বিশাল এক জয় এনে দিয়েছে স্বাগতিকদের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরেছিল বাংলাদেশ। এই টস হারটা ম্যাচের ফলাফলে বড় প্রভাবই রেখেছিল সেদিন। আজ সে দুর্ভাগ্য সঙ্গী হয়নি নিগারদের। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে টস জেতে স্বাগতিকরা, নেয় ব্যাট করার সিদ্ধান্ত।
ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম বলেই খুইয়ে বসেছিল শামিমা সুলতানার উইকেট। ফারজানা হককে সঙ্গে নিয়ে মুর্শিদা খাতুন সামলে নেন শুরুর ধাক্কা, যদিও পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ রান তুলতে পারেনি তেমন, ৬ ওভার শেষে ওঠে মোটে ২০ রান।
তিনে নামা ফারজানা এরপরই বিদায় নেন। মাহিরা ইজ্জাতির বলে স্টাম্পড হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ১০ রান।
এরপর উইকেটে আসেন অধিনায়ক নিগার। এসেই শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। ৬টি চার আর ১ ছক্কায় ৩৪ বল খেলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ওপাশে মুর্শিদা ৫৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। তাদের জুটিতে উঠে আসে ৬৩ বলে ৮৭ রান। এরপর ফাহিমা খাতুন আর মুর্শিদাকে হারালেও বাংলাদেশ তুলে ফেলে ১২৯ রানের পুঁজি।
বড় লক্ষ্য সামনে রেখে মালয়েশিয়ার শুরুটা হয়েছিল বেশ স্থিতধী। দুই ওপেনার এলসা হান্টার আর উইনিফ্রেড দুরাইসিঙ্গাম নির্বিঘ্নেই পার করে দিচ্ছিলেন পাওয়ারপ্লেটা।
তবে এরপরই তাতে বাঁধ সাধেন ফারিহা তৃষ্ণা। নিজের প্রথম দুই ওভারে ৬ রান দেওয়া অভিষিক্ত এই বাঁহাতি পেসার পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আঘাত হানেন মালয়েশিয়ান ইনিংসে।
ষষ্ঠ ওভার করতে আসা ফারিহা দ্বিতীয় বলে ফেরান দুরাইসিঙ্গামকে। তাকে বোল্ড করার পরের বলেই ম্যাস এলিসাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। ওভারের চতুর্থ বলে আবারও তার আঘাত। এবার তার শিকার বনেন মাহিরা ইসমাইল। এর ফলে হ্যাটট্রিকটা পূরণ করে ফেলেন তৃষ্ণা। বাংলাদেশও ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য ফিরে পায় তাতে।
সেই যে ভিতটা নড়ে গেল মালয়েশিয়ার, সেটা আর স্থিতিশীল করা গেল না কিছুতেই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়েছে দলটি। দুই অঙ্কে যেতে পারেননি মালয়েশিয়ান কোনো ব্যাটারই। ৫, ৯, ০, ০, ৮, ৫, ৯, ৪, ০, ০, ০; শুরু থেকে শেষতক এই ছিল মালয়েশিয়ান ব্যাটারদের ব্যক্তিগত সংগ্রহ। যার ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে, মালয়েশিয়া অলআউট হয়েছে ৪৩ রান তুলে।