রঙিন পোশাকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ রাঙানো। সেটি যদি হয় ওয়ানডে ম্যাচ এবং ভেন্যু যদি হয় ঘরের মাঠ তাহলে যেকোনো সময়, যেকোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচ বের করার সক্ষমতা রাখে বাংলাদেশ।
নিজেদের আরও একবার জানান দিতে বুধবার (৫ জুলাই) দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
শক্তি-সামর্থ্য কিংবা ঘরের মাঠের সুবিধা—সবদিক থেকে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ দল। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে এসেছে দলের আমূল পরিবর্তন। সবার মধ্যে এক ধরণের উদ্যম কাজ করছে।
তবে, আফগানিস্তান বাংলাদেশের জন্য বরাবরই শক্ত প্রতিপক্ষ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দলের সর্বশেষ সিরিজে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সিরিজ জিতলেও শেষ ম্যাচে হেরেছিল সাত উইকেটে।
এবারও কঠিন সিরিজই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে। পূর্ণশক্তির দলটাকেই পাচ্ছে আফগানরা। তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সমীহ রেখে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, ‘ওরা ওয়ানডেতে খুবই ভালো দল। ওদের বোলিং আক্রমণ বিশ্বের অন্যতম সেরা। ভীষণ প্রতিযোগিতা হবে মাঠে। এমন নয় যে, আপনি মাঠে গিয়েই জিতে গেলেন।’
ওয়ানডে বিশ্বকাপের বেশি দিন বাকি নেই। স্বভাবতই, বাংলাদেশ দলে যাচাই-বাছাই চলবে। বিশ্বকাপকে ভাবনায় রেখে খেলোয়াড়রাও নিজেদেরকে ঝালাই করে নিতে পারবে। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা তো হবেই। কালকের ম্যাচের পর ভালোভাবে বোঝা যাবে। তবে, তিন ম্যাচে তিন রকম পেস কম্বিনেশন দেখতে পাবেন আপনারা।’
বাংলাদেশ দলের চোট শঙ্কা স্বয়ং তামিমকে নিয়ে। চোটের কারণে খেলতে পারেননি টেস্ট ম্যাচ। চোট লুকালেন না নিজেও। যদিও জানালেন, কাল খেলবেন তিনি। তামিম বলেন, ‘আমি অবশ্যই কালকের জন্য অ্যাভেইলেবল। শরীর আগের চেয়ে ভালো। তবে, এটা বলব না যে, শতভাগ। কালকে খেলার পর আরও ভালো বুঝতে পারব যে, কী অবস্থা।’
এদিকে, নিজেদের ব্যাপারে আশাবাদী আফগানিস্তান। বাংলাদেশকে ভয় না পেয়ে আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহীদি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভালো খেলছে। আমরাও জিততেই এসেছি। ওয়ানডেতে বর্তমানে আমরা দারুণ দল। ভালো অবস্থানে আছি আমরা।’
গত মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে আফগান দলে ছিলেন না রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা। ওয়ানডে দলে ফিরেছেন তারা। আফগানদের দলে পেসার স্পিনার সমন্বয় নিয়ে শহীদি জানান, ‘সবাই জানে বিশ্বের সেরা স্পিনার আমাদের দলে। স্পিনের পাশাপাশি আমাদের পেস আক্রমণও দুর্দান্ত। আমাদের বোলিং বেশ ভারসাম্যপূর্ণ্য।’
ওয়ানডেতে দুই দলের মুখোমুখি ১১ দেখায় বাংলাদেশের জয় সাতটি, আফগানরা জিতেছে পাঁচ ম্যাচে।
বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াড :
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ও নাঈম শেখ।