প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লিড নেয়া যায়নি। উল্টো কিউইরা ৭ রানের লিড নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের
২৩ রানের উদ্বোধনী জুটিকে বড় মনে হবে না। তবে এই ২৩ রান তুলতে ৭৩ বল খেলেছেন জাকির হাসান ও জাকির হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে দুই ওপেনার ক্রিজে সময় কাটানোর কঠিন কাজটা করে ফেলেছিলেন। ইনিংসটা লম্বা করতে হতো। কিন্তু তা আর হলো না। প্রথম ইনিংসের মতো বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলের বলে আউট হলেন জাকির। এরপর মাহমুদুল হলেন রান আউট। দুজনই আউট হলেন দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে, মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে।
জোড়া আঘাতের পর অনেকটা নতুন করেই শুরু করতে হয় সদ্য ক্রিজে আসা নাজমুল হোসেন ও মুমিনুল হককে। দুজনই সেটি করেছেন প্রতি আক্রমণে। দুজন মিলে ১৪১ বল খেলে যোগ করেছেন ৮৫ রান। তাতে দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের রান গিয়ে দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১১১ রান। নাজমুল ৯২ বল খেলে করেছেন ৪৮ রান। মুমিনুল ৬০ বলে ৩৮ রান করেছেন। দুজনের সৌজন্যে বাংলাদেশের লিড এখন ১০৪ রান।
স্পিন ছিল দ্বিতীয় সেশনে নিউজিল্যান্ডের আক্রমণের প্রধান অস্ত্র। মুমিনুল ড্রাইভ, কাট, নাজমুল সুইপ শটে কিউইদের ওপর চড়াও হয়। একটা পর্যায়ে দুজনই স্ট্রাইক রেট ছিল ৮০’র ঘরে। দ্বিতীয় সেশনের শেষ যখন ঘনিয়ে আসছিল, তখন দুজনই রয়েসয়ে খেলেছেন।
এর আগে সেশনের শুরুতে ইনিংসের ১৪তম ওভারে এজাজের অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে নিখুঁত টার্নে ভেতরে ঢোকানো বলে এলবিডব্লিউ হন জাকির। ৩০ বল খেলে ১৭ রান করা জাকিরের বিদায়ে ২৩ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
এর এক ওভার পরেই দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হন মাহমুদুল। নাজমুলের স্ট্রেট ড্রাইভের ফলো থ্রুতে হাত ছুঁইয়ে নন স্ট্রাইকে থাকা মাহমুদুলকে রান আউট করেন সাউদি। তাতে সমাপ্তি ঘটে জয়ের ৪৬ বলে ৮ রানের ইনিংসের।