টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজেও হেরে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে। সিরিজের এক ম্যাচ বাকি থাকতেই হারতে হয়েছে ওয়ানডে সিরিজ। তাই শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটওয়াশেত লজ্জা এড়ানোর ম্যাচ।
উড়তে থাকা বাংলাদেশ এবার মুখোমুখি ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জের সামনে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে সিরিজ হারানো বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লড়বে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর জন্য। বুধবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লড়বে তামিমের দল।
বাংলাদেশ এই ম্যাচের মাধ্যমে নিজেদের ৪০০তম ওয়ানডে খেলবে। এই মাইলফলকের ম্যাচেও যেন লজ্জার মুখোমুখি। বাংলাদেশ সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ২০০১ সালে। ২১ বছর আগে! বর্তমানে খেলা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার তখন শিশু! ৯ বছর পর সিরিজ জেতা জিম্বাবুয়েকে এবার হাতছানি দিচ্ছে একুশ বছর পর হোয়াইটওয়াশ করার।
সিরিজ হেরে মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখছেন অধিনায়ক তামিম। দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে পেতে জেতা উচিত বলে মনে করছেন বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
গতকাল সাংবাদিকদের ডোনাল্ড বলেছেন, ‘কঠিন শিক্ষা পাওয়ার পর যেমন হয়, দলের অবস্থা তেমনই। আমরা অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছি। কিছু ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিছু বাজে সিদ্ধান্তও। আজ সকালে আমরা এ নিয়ে কথা বলেছি। আমরা এই দলের ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য নিয়ে কথা বলেছি। সিরিজ হেরেছি। কিন্তু আত্মবিশ্বাস নেওয়ার জন্য জিততে হবে।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেই জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা ছিলেন অদম্য। ওয়ানডেতে টানা দুই সেঞ্চুরি যার প্রমাণ। তাকে সঙ্গ দিয়ে দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন কাইয়া-চাকাভা। ম্যাচ বের করতে কোনা সমস্যা হয়নি জিম্বাবুয়ের। তৃতীয় ম্যাচে জিততে হলে রাজাদের থামানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
ডোনাল্ড বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে খুব ভালো খেলেছে। রাজা অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলেছে। চাকাভা দেখিয়েছে তার সামর্থ্য। ওরা আমাদের চাপে ফেলেছে। আমাদের কাছে এর কোনো উত্তর ছিল না। এটা ড্রেসিংরুমে বসে দেখা কঠিন। কারণ, আপনি কিছু করতে পারবেন না। সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ক্রিকেটারদের কাজ।’
চোটে জর্জর বাংলাদেশ দলে ঘটতে পারে এক পরিবর্তন। বিশ্রামে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান ফিরতে পারেন একাদশে। জায়গা হারাতে পারেন শরিফুল ইসলাম। তাকে বিগত ম্যাচগুলোতে ভীষণ এলোমেলো দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া আজ আর কোনো পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।