স্কুল দাবা প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন। এই প্রতিযোগিতা থেকে বাছাই করা চারজন ক্ষুদে দাবাড়ুকে (দুইজন ছাত্র ও দুইজন ছাত্রী) ইউরোপে চার মাসের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দল ১০, রানার্স-আপ ৫ ও তৃতীয় স্থান অধিকারী দল ৫ লাখ টাকা পুরস্কার পাবে।
এবারের স্কুল দাবা দলগত পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি স্কুল থেকে ৪ জন নিয়মিত ও ২ জন অতিরিক্ত খেলোয়াড় অংশ নেবে। প্রতিটি ম্যাচ চারটি বোর্ডে অনুষ্ঠিত হবে। একটি স্কুলের পক্ষে ৪ বোর্ডে চার জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করবে।
হোম অ্যান্ড এওয়ে পদ্ধতিতে এ স্কুল দাবায় প্রতিযোগিতার জন্য দুই দিনের মধ্যে প্রতিটি জেলায় ৮ থেকে ১০টি দলকে নির্বাচিত করা হবে। জেলা পর্যায়ের পর বিভাগীয় পর্যায়ে স্কুল দাবা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষে বিভাগীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।
ঈদের পর স্কুল দাবা শুরু হবে। প্রতিটি জেলা তাদের সুবিধাজনক সময়ে খেলা শুরু করবে। এদিকে কোন জেলায় কয়টি স্কুল অংশ নেবে এই তালিকা এখনো দাবা ফেডারেশন সংগ্রহ করেনি। দলভিত্তিক টুর্নামেন্ট হওয়ায় ফেডারেশনের আনুমানিক ধারণা কয়েক হাজার স্কুল দাবাড়ু এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।
আবুল খায়ের গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে দেশব্যাপী অনুষ্ঠেয় মার্কস একটিভ স্কুল দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান (৪ জুলাই) রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের উৎসব হলে অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ স্কুল দাবা প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও সাউথ এশিয়ান চেস কাউন্সিল ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ড. শোয়েব রিয়াজ আলম ও গ্র্যান্ড মাস্টার নিয়াজ মোরশেদ।
এ সময় আবুল খায়ের গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কে এম শহিদউল্যা, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান মল্লিক দিপু, কার্যনির্বাহী সদস্য ও স্কুল দাবা কমিটির সদস্য-সচিব আন্তর্জাতিক অর্গানাইজার মাহমুদা হক চৌধুরী মলি, গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান ও গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবসহ বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ৫০ জন স্কুল ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে দাবায় অংশগ্রহণ করেন দেশের তিন গ্র্যান্ড মাস্টার- নিয়াজ মোরশেদ, জিয়াউর রহমান ও এনামুল হোসেন রাজীব সাইমলটোনিয়াস।