বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

আবারও স্বপ্ন–ভঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকার, টি–টোয়েন্টিতে এই প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড

দেশ স্পোর্টস ডেস্ক

২১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন

আবারও স্বপ্ন–ভঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকার, টি–টোয়েন্টিতে এই প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড

২০০৯ ও ২০১০ সালে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুবার ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেই দলটি ১৪ বছর পর আবার ফাইনালে উঠে দোর্দণ্ড প্রতাপেই জিতে নিল বিশ্বকাপ। তাতে অবশ্য টানা মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার রানার্সআপ হওয়ার যন্ত্রণা পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে তো তো টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারার ‘হ্যাটট্রিক’ই করে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা।

দুবাইয়ে রোববারের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কিউই মেয়েরা।

টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড করেছিল ৫ উইকেটে ১৫৮ রান। রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৯ উইকেটে ১২৬ রান।

নিউজিল্যান্ডের বিশ্ব জয়ে আজ সবচেয়ে বড় ভূমিকা অ্যামেলিয়া কারের। ব্যাট হাতে ৩৮ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা অ্যামেলিয়া কার লেগ স্পিনে পরে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৪ ওভারে ২৪ রান দেওয়া অ্যামেলিয়া কারই হয়েছেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়। ব্যাট হাতে ১৩৫ রান করে ও ১৫ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন কার। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের পেসার রোজমেরি মেয়ারও পেয়েছেন ৩ উইকেট, ৪ ওভারে তিনি খরচ করেছেন ২৫ রান।

রান তাড়ায় অবশ্য দারুণ শুরুই করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাজমিন ব্রিটসকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৬.৪ ওভারেই ৫১ রান তুলে ফেলেছিলেন অধিনায়ক লরা ভলভার্ট। ব্রিটস ১৮ বলে ১৭ রান করে ফেরার পর পথ হারায় দলটি। ৮ রান পরেই ফেরেন ২৭ বলে ৩৩ করা ভলভার্টকে আউট করে প্রথম উইকেট পান অ্যামেলিয়া কার। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা আস্কিং রেটের সঙ্গে আর তাল মেলাতে পারেনি।

নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে কার ছাড়াও বলার মতো রান করেছেন ব্রুক হ্যালিডে (২৮ বলে ৩৮) ও সুজি বেটস (৩১ বলে ৩২)। সেই বেটস, যিনি ২০০৯ ও ২০১০ সালে ফাইনালেও খেলেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক সোফি ডিভাইন ২০০৯ সালের ফাইনাল না খেললেও ছিলেন দলে।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন