প্রায় এক যুগ পর জমজমাট এক নির্বাচন দেখলো চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস)। ২০১১ সালের পরবর্তী দুদফায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনের দরকার পড়েনি। এবারের নির্বাচনকে ঘিরে শুরু থেকেই ছিল উৎসবের আমেজ। যেটির রেশ রয়ে যায় ভোট গণনার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাধরাণ সম্পাদক ছাড়া বাকি পদগুলোতে ভোট হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আ জ ম নাছির উদ্দিনের সাথে কেউ প্রতিদ্বন্ধিতা না করায় তিনি আগেই নির্বাচিত হয়ে যান। এরপর বাকি পদগুলোর জন্য সবার নজর ছিল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে।
এদিন সকাল আটটা থেকে শুরু হয় ভোটোৎসব। বেলা সাড়ে বারটায় ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর শুরু হয় ভোট গণনার পালা। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ফলাফল চলে আসে।
যারা নির্বাচিত হয়েছেন:
সহ-সভাপতির ৪টি পদের জন্য লড়েছেন ৯ জন। তবে শেষ পর্যন্ত হাসি নিয়ে ঘরে ফিরেছেন মো. হাফিজুর রহমান (২২১ ভোট), সৈয়দ আবুল বশর (১৫৪ ভোট), এ কে এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল (১২৮ ভোট) এবং এডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী (১২৩ ভোট)।
সবার নজরে থাকা অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদকের একটি পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন তিনজন। তারা হলেন এস এম শহীদুল ইসলাম, মোঃ মশিউর রহমান চৌধুরী এবং সৈয়দ সাহাবুদ্দিন শামীম। সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে পুনরায় নির্বাচিত হন সৈয়দ সাহাবুদ্দিন শামীম।
যুগ্ম সম্পাদকের দুটি পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন তিনজন। তারা হলেন অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ সরোয়ার আলম চৌধুরী মনি। তাদের মধ্যে সিরাজ চৌধুরী স্বপন ও মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ একটি পদে প্রার্থী ছিলেন দুজন। তারা হলেন আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল এবং শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। লড়াইয়ে বর্তমান কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাহি সদস্যের ১৩ টি পদের জন্য লড়াই করেছিলেন ২৭ জন। জি এম হাসান (১৯৬ ভোট), মোহাম্মদ শাহজাহান (১৭৮ ভোট) এ কে এম আব্দুল হান্নান আকবর (১৭০ ভোট) মো. দিদারুল আলম (১৬৮ ভোট), ইঞ্জিনিয়ার জসীমউদ্দীন (১৫৩ ভোট) হাসান মুরাদ বিপ্লব (১৪৮ ভোট), আকতারুজ্জামান (১৪৫ ভোট) মো. রাশেদুল রহমান মিলন (১৩৪ ভোট), নাসির মিঁয়া (১৩২ ভোট), তানসীর (১২৮ ভোট), মুজিবর রহমান (১২৩ ভোট), এনামুল হক (১২২ ভোট) এবং আলমগীর পারভেজ (১১৩ ভোট)।
উপজেলার সংরক্ষিত দুটি সদস্য পদের জন্য নির্বাচন করেছিলেন তিনজন। তারা হলেন প্রদীপ কুমার ভট্টচার্য্য, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর। তাদের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন মো. জাহিদুল ইসলাম ও প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য।