রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

৪০ লাখ গুলি, কোটি টাকা খরচ করে আনল শ্যুটিং ফেডারেশন

দেশ স্পোর্টস ডেস্ক

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:২৪ অপরাহ্ন

৪০ লাখ গুলি, কোটি টাকা খরচ করে আনল শ্যুটিং ফেডারেশন

গুলি শ্যুটিংয়ের অন্যতম অনুষঙ্গ। প্রতিদিন নানা ইভেন্টে অনুশীলনের জন্য কয়েক হাজার গুলির প্রয়োজন হয় শ্যুটারদের। ভালো মানের গুলির ওপর নির্ভর করে পারফরম্যান্স ও অনুশীলন। অনেক সময় অনেক শ্যুটাররা গুলির অভাবে অনুশীলনও করতে পারেন না। বাংলাদেশ শ্যুটিং ফেডারেশন গুলি সংকট কাটাতে ৪০ লাখ গুলি (.১৭৭) এনেছে জার্মানি থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই শ্যুটিংয়ে সবচেয়ে বড় অঙ্কের গুলির আমদানি।

শুটিংয়ের জন্য জার্মানি সবচেয়ে আদর্শ জায়গা। পিস্তল,গুলি সব কিছুই জার্মানির মান অনন্য। বাংলাদেশ শ্যুটিং ফেডারেশন গত প্রায় আট মাস জার্মানির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৪০ লাখ গুলি এনেছে। গতকাল গুলশানস্থ শ্যুটিং কমপ্লেক্সে এই গুলি এসে পৌঁছেছে। ফেডারেশনের সংরক্ষিত জায়গায় বেশ সতর্কতার সাথেই গুলি মজুত রেখেছে ফেডারেশন। ৪০ লাখ পিস গুলির দাম , শুল্কসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে শ্যুটিং ফেডারেশনের খরচ কোটি টাকার ওপরেই পড়ছে। জার্মানির পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক, কাস্টমসের সঙ্গে গত ছয় মাস নিবিড়ভাবে কাজ করেছে শ্যুটিং ফেডারেশন এই গুলি আমদানির জন্য। 

আগামী বছর জুলাইয়ে প্যারিস অলিম্পিক। প্যারিস অলিম্পিকের প্রস্তুতিতে সামনে রেখেই মূলত শ্যুটিং ফেডারেশনের এত পরিমাণ গুলি আনা। জাতীয় দলের ক্যাম্প, বিভিন্ন জাতীয়-আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের পাশাপাশি শ্যুটিং ক্লাবগুলোকেও চাহিদাপত্রের ভিত্তিতে গুলি প্রদান করবে ফেডারেশন। আগে আমদানি করা গুলির অপব্যবহারের কথা শোনা গেলেও সাম্প্রতিক সময়গুলোতে এমন অভিযোগ একেবারে নেই। ক্লাব/সংস্থাগুলোকে কঠোর নিয়ম অনুসরণ করেই ফেডারেশনের কাছ থেকে গুলি সংগ্রহ করতে হয়। 

হাল আমলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেট ও আরচ্যারি বাংলাদেশের দু’টি সফল ডিসিপ্লিন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের পরিচিতি পেছনের শ্যুটিংয়ের অবদান অনেক। নব্বইয়ের দশক থেকে কমনওয়েলথ, এসএ গেমসে ধারাবাহিকভাবে পদক এসেছে এই ডিসিপ্লিন থেকে। এখনও শ্যুটিং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের এক ভরসার নাম। 


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন