সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখেই এবার জাতীয় লিগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এমনও শোনা গিয়েছিল যে, লাল বলে নয়, এবার জাতীয় লিগ শুরুই হবে সাদা বলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে।
কিন্তু সময়ের প্রবাহতায় সে সিদ্ধান্ত পাল্টেছে। আপাতত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের খেলা হবে না। আগামী ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে জাতীয় লিগ, চারদিনের ম্যাচ দিয়ে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম ও রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে একসঙ্গে শুরু হবে এবারের জাতীয় লিগের খেলা।
যেহেতু সামনেই দেশে বসবে নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেট, ওই আসরে সিলেটই হচ্ছে মূল ভেন্যু। তাই এবার প্রথম দিকে জাতীয় লিগ সিলেটে হবে না।
সেই শুরুর পর থেকে প্রতিবার জাতীয় লিগকে আকর্ষণীয় করার কথা শোনা যায়। খুব না হলেও কমবেশি প্রতিবারই এনসিএলকে আকর্ষণীয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তোলার চেষ্টা থাকে। সে লক্ষ্যে ক্রিকেটাদের ম্যাচ ফি, দৈনিক ভাতা, যাতায়াত ভাতা, থাকা-খাওয়া এবং প্রাইজমানি বেড়েছে।
বিসিবি টুর্নামেন্ট কমিটির নতুন চেয়ারম্যান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, ‘চেষ্টা করা হয়েছে আকর্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসর হিসেবে জাতীয় লিগকে প্রতিষ্ঠিত করার। ক্রিকেটারদের আনুষাঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি উইকেটের মান উন্নয়নেও সাধ্যমত চেষ্টা থাকছে এবার। সেদিকে চিন্তা করেই এবার ইংল্যান্ড থেকে ডিউক লাল বল আনা হয়েছে। এবার ডিউক বলেই খেলা হবে।’
সর্বশেষ খবর, এবারও প্রাইজমানি, ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি ও ম্যান অব দ্য ম্যাচের অর্থ পুরস্কারের অংক বাড়ছে। জাতীয় লিগ আয়োজক কমিটির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এবার দুই ‘টায়ারের’ প্রাইজ মানি, ম্যাচ ফি এবং ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কারের অর্থ বাড়ানো হয়েছে। ‘এ টায়ার’-এর চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের প্রাইজমানি বেড়েছে ১০ লাখ টাকা করে।
পূর্বে ‘এ টায়ার’-এর চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হতো ২০ লাখ টাকা। এবার এক নম্বর টায়ারের চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য বরাদ্দ থাকবে ৩০ লাখ টাকা। রানার্সআপ দলের পুরস্কার ১০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখ করা হয়েছে।
আর ‘টায়ার ২’র চ্যাম্পিয়ন দলের অর্থ পুরস্কার ৫ থেকে বাড়িয়ে ৭ লাখে উন্নীত করা হয়েছে। প্রতি খেলার ম্যান অব দ্যা ম্যাচের জন্য আগে যে অর্থ বরাদ্দ থাকতো, সেটাও বাড়ানো হচ্ছে এবার। তবে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের অর্থ পুরস্কারের অংক একই থাকবে। সেটা বাড়বে না।
ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়েছে। সেটা দলগুলোর অবস্থানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। এক নম্বর টায়ারে গতবার যে দল সবার ওপরে ছিল, তাদের সবার ম্যাচ ফি ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা করে। এভাবে দুই টায়ারের দলগুলোর গতবারের অবস্থানকে মানদণ্ড ধরে আনুপাতিকহারে ম্যাচ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।