নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ বলে উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে দারুণভাবে বিদায় বললেন স্টুয়ার্ট ব্রড। অ্যালেক্স ক্যারিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে দলকে জয়ের আনন্দে ভাসান ডানহাতি এই পেসার। সিরিজের পঞ্চম এবং শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ৪৯ রানে হারিয়েছে ইংলিশরা।
এই জয়ে অ্যাশেজের সিরিজটা ড্র হয়েছে। দুদলই দুটি করে ম্যাচে জয় লাভ করেছে। চতুর্থ ম্যাচটা বাতিল হয়েছে বৃষ্টির কারণে। তবে সিরিজ ড্র হলেও গতবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অ্যাশেজের শিরোপা থেকে যাবে অজিদের ঘরেই।
ওভালে জয়ের জন্য ৩৮৪ রানের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। সে লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৩৪ রানেই অলআউট হয়েছে অজিরা।
শেষ দিন সকালের সেশনটা ছিল ইংল্যান্ডের জন্য দুর্দান্ত। দিনের চতুর্থ ওভারেই ব্রেকথ্রু এনে দেন ক্রিস ওকস। ডেভিড ওয়ার্নারকে ৬০ রানে ফেরান তিনি। পরের ওভারে এসে ওকস ফেরান আরেক ওপেনার উসমান খাজাকেও।
মারনাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথের জুটিও বড় হয়নি। মার্ক উডের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে লাবুশেন ফিরলে ভাঙে সেটি। দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ড তখন এগিয়ে অনেকটাই।
মধ্যাহ্নবিরতির আগেই স্টিভ স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের পালটা আক্রমণে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। বিরতির ঠিক আগে আসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। মঈনের বলে স্মিথের গ্লাভসে লেগে ক্যাচ গিয়েছিল লেগ স্লিপে, বেন স্টোকস সেটি নেন লাফিয়ে। তবে উদযাপনের অংশ হিসেবে বল ছুড়ে মারতে গেলেই বাঁধে বিপত্তি, হাঁটুর কাছে লেগে ইংল্যান্ড অধিনায়কের হাত থেকে পড়ে যায় বল। মাঠে নটআউট দেন আম্পায়াররা, রিভিউ নেওয়ার পরও অটল থাকে সে সিদ্ধান্ত।
লাঞ্চের পর নামে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে অনেকক্ষণ। বৃষ্টি বিরতির পর খেলা শুরু হলে চালকের আসনেই থাকে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মোড় ঘুরিয়ে দেন মইন আলী। ট্রাভিস হেড এবং মিচেল মার্শকে ফেরান তিনি।
স্মিথ যখন আউট হলেন অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৫ উইকেটে ২৭৪। জয় থেকে তখনো অস্ট্রেলিয়া ১১০ রান দূরে। শেষদিকে অ্যালেক্স ক্যারি বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। ২৮ রান করে অস্ট্রেলিয়ার শেষ উইকেট হিসেবে আউট হন। তার উইকেটটি নেন ব্রড। পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে শেষ বলে উইকেট নিয়ে থামলেন।