বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রতিপক্ষ পেরুর মাঠে খেলতে গিয়ে জয় আনতে বেশ বেগ পেতে হলো ব্রাজিলকে। তুমুল চেষ্টার পর শেষ মিনিটে গোল করে পয়েন্ট পেয়েছে ফার্নান্দো দিনিজের দল।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকালে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পেরুকে ১-০ গোলে হারায় পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৯০ মিনিটে ব্রাজিলের হয় ম্যাচ জেতানো গোল করেন মার্কিনিউস। এই জয়ে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পেল সেলেসাওরা। তবে ম্যাচ জিতলেও নিজেদের সেরা ছন্দে দেখা যায়নি নেইমারদের।
পুরো ম্যাচে ৬২ শতাশং বল দখলে নিয়ে ৯শট মেরে ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে ব্রাজিল। অন্যদিকে ৩৮ শতাংশ বলের দখলে থাকা পেরু ৬ শট নিলেও কোনটিই লক্ষ্য রাখতে পারেনি।
খেলার শুরু থেকেই ব্রাজিলের বিপক্ষে তাল মিলিয়ে আগ্রাসী ফুটবল খেলার নীতি নিয়েছিল পেরু। আক্রমণ ধারালো করতে না পারলেও মাঝমাঠে বেশ দাপটও দেখায় তারা। ব্রাজিল সামলে নিয়ে আক্রমণে উঠতে দেরি করেনি।
১৭ মিনিটে বল জালে জড়িয়েও লাভ হয়নি, অফ সাইডে তা বাতিল হয়ে যায়। এরপর কয়েক মিনিট ব্রাজিল প্রতিপক্ষের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়াতে পারছিল না। ২৯ মিনিটে তৈরি হয় দারুণ সুযোগ। ডান প্রান্ত থেকে তৈরি হয় আক্রমণ। রাফিনিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর তুলে মারেন ব্রুনো গিমারেস। লাফিয়ে উঠে দারুণ হেডে বল জালে ঢুকিয়ে উদযাপনও করেন রিচার্লিশন।
পেরুর খেলোয়াড়দের আপত্তির মুখে পরে ভিএআরে যান রেফারি। বেশ খানিকক্ষণ দেখার পর অফ সাইডে তা বাতিল করে দেন তিনি। এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান নেইমাররা।
৪৫ মিনিটে রাফিনিয়ার কাছ থেকে বল নিয়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে আড়াআড়ি শট নিয়েছিলেন নেইমার। দারুণ দক্ষতায় তার শট ঠেকিয়ে দেন পেরুর গোলরক্ষক।
বিরতির পর গোলের খোঁজে ৬৪ মিনিটে রিচার্লিসনকে তুলে গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে নামান ব্রাজিল কোচ দিনিজ। তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। রাফিনিয়া ৭২ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে শট নিয়ে গোলের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গ্যালাসে এ যাত্রায়ও হতাশ করেন ব্রাজিলকে। বিরতির পর ম্যাচের ৮৩ মিনিট পর্যন্তও পেরুর বক্সের ভেতর থেকে মাত্র একটি শট নিতে পেরেছে ব্রাজিল। ৪-৪-২ ফর্মেশনে পেরু কোচ হুয়ান রেইমোসো ডিফেন্ডারদের দারুণভাবে ব্যবহার করেছেন। বক্সের সামনে থেকে পাসের কলকাঠি নাড়তে পারেননি নেইমার।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে এ নিয়ে ২ ম্যাচই জিতে মোট ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠল ব্রাজিল। তাদের সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে আর্জেন্টিনা। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া কলম্বিয়া চিলির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে। ইকুয়েডরের কাছে ২–১ গোলে হেরেছে উরুগুয়ে। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে উরুগুয়ে।