শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে রেকর্ডের বন্যা

দেশ স্পোর্টস ডেস্ক

২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৫ অপরাহ্ন

নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে রেকর্ডের বন্যা

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের পেস বোলিং-বান্ধব উইকেটে পেসাররা আগুন ঝরালেন। এতটুকু পড়ে যদি মনে করেন আগুন ঝরেছে কিউই পেসারদের তাহলে বড্ড ভুল ভেবেছেন। এদিন, নতুন বলে শরিফুল ইসলাম-তানজিম সাকিবরা রীতিমতো আগুন ঝরালেন! তাদের পেসে পুড়ে ছাই কিউই ব্যাটাররা! পুরো দল মিলে স্কোরবোর্ডে একশ রানও তুলতে পারেনি—অলআউট হয়েছে ৯৮ রানে। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ, ঘরের মাঠে কিউইদের ওয়ানডে ইতিহাসেরই চতুর্থ সর্বনিম্ন এবং ২০০৭ সালের পর সর্বনিম্ন সংগ্রহ। বোলারদের এমন বীরত্বের পর নেপিয়ারে বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন ব্যাটাররা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। সেটাও ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। শনিবারের এই সকালটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নিশ্চয়ই রূপকথার!

১৯তম ওয়ানডেতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের প্রথমবারের মতো হারাল বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপে সেখানে স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছিল তারা। সে হিসাবে নিউজিল্যান্ডে এটি তাদের ২০তম ম্যাচ। দেশের বাইরে যেসব জায়গায় বাংলাদেশ কমপক্ষে ২০টি ম্যাচ খেলেছে, সবচেয়ে কম জয় নিউজিল্যান্ডেই। নেপিয়ারে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে দেখা গেছে আরও কিছু রেকর্ড—


দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার কোনো ইনিংসে অলআউট হলো নিউজিল্যান্ড। এর আগে ২০১৬ সালে নেলসনে ২৫১ রানে অলআউট হয়েও নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ৬৭ রানে।

৯৮
বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর (অলআউট হয়ে যাওয়া ম্যাচে)। আগের সর্বনিম্ন ছিল ২০১৩ সালে মিরপুরে—১৬২। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে এ নিয়ে নবমবার ১০০-এর নিচে অলআউট হলো তারা, দেশের মাটিতে চতুর্থবার ও ২০০৭ সালের পর প্রথমবার।


প্রতিপক্ষকে তৃতীয়বারের মতো ১০০-এর নিচে অলআউট করল বাংলাদেশ। আগের দুটি ঘটনা ছিল ২০০৯ (জিম্বাবুয়ে, চট্টগ্রাম) ও ২০১১ সালে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, চট্টগ্রাম)।

১০
মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটই নিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। আজ তানজিম হাসান, শরীফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার নিয়েছেন ৩টি করে, ১টি মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে একমাত্র ঘটনাটি ছিল এ বছরেরই মার্চে, সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার বাংলাদেশের হয়ে ১০টি উইকেট নিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ (৫), তাসকিন আহমেদ (৩) ও ইবাদত হোসেন (২)।

৫০
১৪তম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ৫০ উইকেট নিলেন শরীফুল ইসলাম। এ ক্ষেত্রে তিনি তৃতীয় দ্রুততম। তাঁর লাগল ৩৩ ম্যাচ। ২৭ ম্যাচে ৫০ উইকেট নেওয়ার বাংলাদেশের রেকর্ডটি মোস্তাফিজুর রহমানের, যিনি ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন আবদুর রাজ্জাকের ৩২ ম্যাচের রেকর্ড।

১৭
দেশের মাটিতে সম্পন্ন হওয়া টানা ১৭টি ওয়ানডে জেতার রেকর্ড নিয়ে নেপিয়ারে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড, তাদের সামনে ছিল অস্ট্রেলিয়ার ১৮টি টানা জয়ের রেকর্ড ছোঁয়ার হাতছানি। তবে ১৭ ম্যাচেই থামতে হলো তাদের। এর আগে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ড সর্বশেষ হেরেছিল ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, ভারতের কাছে ওয়েলিংটনে।

৯৯২
বছরে বাংলাদেশের শেষ ওয়ানডেতে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন নাজমুল হোসেন, তবে ৮ রানের আক্ষেপ থেকে গেল তাঁর। ২০২৩ সালে ৯৯২ রান করেই থামলেন তিনি। শাহরিয়ার নাফীসের (২০০৬) পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ১ হাজার রানের রেকর্ডটা হলো না তাঁর। অবশ্য একটা জায়গায় নাফীসকে ছাড়িয়েছেন তিনি (খুবই কম ব্যবধানে)। এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কমপক্ষে ৮০০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গড় এখন তাঁর (৪১.৩৩)। নাফীসের ছিল ৪১.৩২।


নাজমুল না পারলেও উইল ইয়াং পেরেছেন। নিউজিল্যান্ডের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ১ হাজার রান পূর্ণ করেছেন তিনি। তাঁর আগে নিউজিল্যান্ডের হয়ে এক বছরে ১ হাজার রানের কীর্তি আছে—রজার টুজ (২০০০), মার্টিন গাপটিল, রস টেলর ও কেইন উইলিয়ামসন (২০১৫) ও ড্যারিল মিচেলের (২০২৩)।

২০৯
বল বাকি রেখে আজ নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে যেটি তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ। 


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন