চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নান্দনিক জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নান্দনিক জয়

নান্দনিক এক জয়ে চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগে দারুণ শুরু করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। 

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত জিপিএইচ ইস্পাত প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ২-১ গোলে হারায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতিকে। 

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি একাদশের ম্যাচটি দারুণ উপভোগ্য হয়। তবে হাড্ডাহাড্ডি এই ম্যাচেও বন্দর ক্রীড়া সমিতি একাদশের এক ফুটবলার দেখেন লাল কার্ড। 

খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণে দারুণভাবে জমে উঠে ম্যাচটি। যদিও শুরু থেকেই আক্রমণে এগিয়ে ছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। কিন্তু বারবার আক্রমণ করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না। উল্টো প্রথমার্ধে একটি গোল খেয়ে বসে তারা। পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি। 

যদিও গোলের সুযোগ সৃষ্টি করার দিক থেকে এগিয়ে ছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। প্রথমার্ধে তারা দুটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করে। একবার বারে লেগে প্রতিহত হয়। আরেকবার একজন স্ট্রাইকার বাইরে শট করে গোলের নষ্ট করেন। খেলার ৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দিদার গোল করে বন্দর ক্রীড়া সমিতিকে এগিয়ে নেন । মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক প্রতিপক্ষের গোলের চেষ্টা ঠেকাতে গিয়ে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। আর সে পেনাল্টি থেকে দিদার গোল করে বন্দর ক্রীড়া সমিতিকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন। তাদের সে আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে গোলমুখে সৃষ্ট জটলা থেকে সায়েম গোল করে খেলায় সমতা ফেরান। ফলে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুদল।

প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণে জমে উঠতে থাকে ম্যাচ। যদিও এই অর্ধে আক্রমণের দিক থেকে এগিয়ে ছিল মুক্তিযোদ্ধা । কিন্তু কোন দলই আক্রমণগুলোকে গোলে পরিণত করতে পারছিল না। দ্বিতীয়ার্ধের ২৫ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো বন্দর ক্রীড়া সমিতি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক আনিসের দৃঢ়তায় সে যাত্রায় বন্দর গোলবঞ্চিত হয়। বক্সের বাইরে থেকে কায়েসের বিপজ্জনক শট আনিস প্রতিহত করেন দক্ষতার সাথে। এর পরপই দশ জনের দলে পরিণত হয় বন্দর ক্রীড়া সমিতি। বিপজ্জনক ফাউলের দায়ে দ্বিতীয় দফা হলুদ কার্ড পেয়ে বন্দর ক্রীড়া সমিতির দিদারকে মাঠ ছাড়তে হয়। ফলে ম্যাচের বাকি সময় ১০ জনের বন্দর দলকে পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র আক্রমণের ধার আরো বাড়াতে থাকে। আর সেখানেই সফল মুক্তিযোদ্ধা। 

যদিও গোল পেতে ম্যাচের অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাদের। দারুণ সংঘবদ্ধ এক আক্রমণ থেকে গোল আদায় করে নেয় মুক্তিযোদ্ধা। ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমনে উঠে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে জাফর ইকবাল বক্সে দারুণ এক সেন্টার করেন। আর বক্সে ফাঁকায় দাঁড়ানো হেফাজউদ্দিন হাসান দুর্দান্ত শটে বল পাঠিয়ে দেন জালে। ২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার উল্লাসে মাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। আর হতাশায় নুইয়ে পড়ে বন্দর ক্রীড়া সমিতি একাদশ। শেষ পর্যন্ত সেই ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুক্তিযোদ্ধা। 

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন বিজয়ী দলের হেফাজউদ্দিন হাসান। তার হাতে পুরস্কার এবং নগদ অর্থ পুরস্কার তুলে দেন সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী। 

আজকের খেলা: ব্রাদার্স ইউনিয়ন-কাস্টমস ক্লাব ( বিকাল সাড়ে ৩ টা)।


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন