সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

উড়ন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করতে পারেনি সিটি করপোরেশনও

মিথুনের ১০৭, জাহিদের ১৩৬

ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৬ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৬ অপরাহ্ন

উড়ন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করতে পারেনি সিটি করপোরেশনও

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের করা ২১৬ রান তাড়া করতে গিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি ৯ রানেই ফেলে ২ উইকেট। দলীয় ২৭ রানের মাথায় ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন চারে নামা তারেক কামালও। লিগে প্রথম জয়ের আশায় উজ্জীবিত সিটির খেলোয়াড়রা। কিন্তু তাদের মুখের খাবার কেড়ে নিয়ে সিটিকে হতাশায় ভাসান বন্দরের দুই ব্যাটার জাহিদুজ্জামান ও ইকবাল বাহার। 

এর আগে বুধবার (৬ মার্চ) কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ওয়ান ডাউনে নামা আরাফাত খান মিথুনে সেঞ্চুরির সুবাদে ৫০ ওভারে ২১৬ রান সংগ্রহ করে। সেটির জবাবে চট্টগ্রাম বন্দর মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৮.৩ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর করে।

সিটির ইনিংস জুড়ে ছিল অভিজ্ঞ ব্যাটার আবু নেওয়াজ লিখন আর আরাফাত খান মিথুনের ব্যাটিং প্রদর্শনী। এরমধ্যে লিখন ৮১ বলে ৫ চারে ৪৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও মিথুন ছুঁটতে থাকেন বড় রানের লক্ষ্যে। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৪৬তম ওভারে মিথুন যখন আউট হয়ে যান তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১০৭ রান। তার ১৩১ বলের ইনিংসটি ১১টি চার আর একটি ছয়ে সাজানো ছিল। এটি এবারের লিগের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। কিন্তু সিটির বাকি ব্যাটাররা তেমন রানের দেখা না পাওয়ায় তাদের সংগ্রহ সমৃদ্ধ হয়নি। 

মিথুন, লিখন ছাড়া দলের বাকি ব্যাটারদের মধ্যে সাজ্জাদ ১৫, নান্না ১৪, সোহেল ১৩ রান করেন। বন্দরের হয়ে বল হাতে ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন সজিব মিয়া। সাজিদ রিফাতও নেন ৩ উইকেট।

জবাবে, শুরুতে কিছুটা এলোমেলো শুরু করা চট্টগ্রাম বন্দরকে জয়ের পথে রাখেন ওপেনার জাহিদুজ্জামান ও মিডল অর্ডার ব্যাটার ইকবাল বাহার। এ দজুন ১৬৩ রানের জুটি গড়ে দলের জয় সহজ করেন। ইকবাল বাহার রান আউট হয়ে গেলে ভাঙে তাদের জুটি। আউট হওয়ার আগে ইকবাল খেলেন ৪৮ রানের কার্যকরী ইনিংস। ইকবালের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে আবারও মাঠে নামেন তারেক। তিনি নেমে জাহিদের সাথে আক্রমণে যোগ দেন। ফলে প্রায় ১২ ওভার বাকি থাকতেই লিগে টানা তৃতীয় জয়ের দেখা মিলে বন্দরের। তারা এখন চট্টগ্রাম আবাহনীর সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।

তবে, জয়ের মূল কারিগর জাহিদুজ্জামান খেলেন অপারাজিত ১৩৬ রানের ইনিংস। ৪২ বলে অর্ধশতকের দেখা পাওয়া জাহিদ ৭৩ বলেই ১৫ চার আর ১ ছয়ে পূর্ণ করেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। দল যখন জয়ের বন্দরে তখন তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৩৬ রানে (১০৩ বলে ২১ চার ও ১ ছয়ে)। 

সিটির হয়ে সোহেল ও রনি নেন ১টি করে উইকেট। 

একইমাঠে, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ইস্পাহানি স্পোর্টসের মুখোমুখি হবে আরেক শিরোপাপ্রত্যাশী দল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র লাল। 


সর্বশেষ

উপরে নিয়ে চলুন